হালদায় ৪টি ইঞ্জিন নৌকা ধ্বংস

খোরশেদ আলম শিমুল,হাটহাজারী,চট্টগ্রাম: দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মিঠাপানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় গত ৭ মাস ধরে রাত দিন একের পর এক অভিযান পরিচালনা করছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।

গত কয়েকদিন এ নদীতে একের পর এক ডলফিন ও মাছ মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসন আরো কঠোর হয়। তাছাড়া মা মাছের ডিম দেওয়ার ভরা মৌসুমে গত মার্চ মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সময়ে হালদা নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হালদা নদীতে ইঞ্চিন চালিত নৌকার মাধ্যমে দিন রাত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে স্থানীয় অসাধু ব্যাক্তিরা। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন অভিযোগ পেয়ে হালদা নদীতে রবিবার (২১এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত তিন ঘন্টার সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ।

এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ সহ মডেল থানার এ এস আই মামুন অংশ গ্রহন করেন । হালদা নদীতে সাঁড়াশি অভিযানটি ঢাকা থেকে সরাসরি মনিটরিং করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।
জানা যায়,হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের সাত্তার ঘাট থেকে উত্তর মেখল এলাকায় হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে পরিচালিত অভিযানে চারটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় বালু উত্তোলনের সম্পৃক্ততা পায়। উপজেলা প্রশাসন এসব নৌকা জব্দ করে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেন। তবে নৌকা গুলো জব্দ করার সময় নৌকার মালিকদের পাওয়া না যাওয়াতে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

ইউএনও রুহুল আমিন পিবিএ’কে জানান, মা মাছের ডিম দেওয়ার ভরা মৌসুমে হালদা নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌযান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যাক্তি হালদায় ইঞ্জিন চালিত নৌযান দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। খবর পেয়ে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ৪টি বালু উত্তোলনকারী ইঞ্জিন চালিত নৌযান জব্দ করে সেগুলো ধ্বংস করা হয়।

পিবিএ/কেএইচ/হক

 

আরও পড়ুন...