হালদা পাড়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন ডিম সংগ্রহকারীরা

মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী(চট্টগ্রাম) : প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা।
গত বছরের চেয়েও এবার বেশি ডিম সংগ্রহ করার আশা করছেন নদীর পাড়ের প্রায় ৪ শতাধিক ডিম সংগ্রহকারী। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী।

বৃহস্পতিবার ৭ মে ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, ঝড়-বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল দেখা দিলে মা-মাছ যে কোনো সময় ডিম ছাড়বে। এখন নদীতে প্রচুর মা-মাছ আনাগোনা দেখা যাচ্ছে বলে জানান ডিম সংগ্রহকারীরা।

হাটহাজারী অংশে নদীর আজিমের ঘোনা, অংকুরি ঘোনা, রাম দাশ মুন্সীর ঘাট, সত্তারঘাট, মাছুয়া ঘোনা, মাদার্শা, কাগতিয়া, গড়দুয়ারাসহ বিভিন্ন অংশ থেকে ডিম সংগ্রহ করবেন।

কামাল সওদাগর জানায়, নদীতে প্রচুর মা-মাছ এসেছে মাছের খেলা চলছে নদীতে বড় বড় রুই কাতলা মাছ চোখে দেখা যাচ্ছে। পূণিমা শুরু হয়েছে যে কোন সময় মা-মাছ ডিম ছাড়বে। তিনি জানান, এবার প্রায় ৪ শতাধিক নৌকা প্রস্তুত রয়েছে নদীতে।
সবাই অপেক্ষা করছে ডিম সংগ্রহের জন্য।

তবে নদীতে এখনো মা-মাছের নমুনা ডিম পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ্য করে ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর জানায়।
প্রতি বছর বজ্রপাতসহ মৌসুমের প্রথম ভারী বর্ষণের সময় হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। মূলত এপ্রিলের শেষ বা মে মাসে
বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নামলে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালাবাউশ জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে হালদায়। এ কারণে আগের তুলনায় বেশি ডিম এ রেণু পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন নদী পাড়ের ডিম সংগ্রহকারী এবং বিশেষজ্ঞরা।


হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানায়, পরিবেশ অনেকটা সুন্দর যদি বৃষ্টি হয় পাহাড়ী ঢল নামে তবে ডিম ছাড়বে মা-মাছ। তিনি প্রশাসনিক ভাবে ডিম সংগ্রহকারীদের সুবিধার্থে সব রকমের সহযোগিতা করেবেন।
পিবিএ/মোহাম্মদ হোসেন/এমএ

আরও পড়ুন...