‘হাসতে হাসতে হার্টফেল করলে এক নম্বর অর্থমন্ত্রী দায়ী থাকবেন’ : রিজভী

 

মানবসেবার মহতী উদ্যোগ নেয়ায় ছাত্রদলকে ধন্যবাদ : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

পিবিএ,ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন-তিনি বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। তার এই কথা চিরকুটে লিখে রাখলাম। এ কথায় হাসতে হাসতে হার্টফেল করলে এই অর্থমন্ত্রী দায়ী থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘এই বক্তব্য অজ্ঞতাপ্রসূত নয়, রাজনৈতিক ধান্দাবাজপ্রসূত। অর্থমন্ত্রী এ বক্তব্যের পরের দিনই আবার বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। বন্ধুরা, মূলত স্ব-স্বীকৃত এক নম্বর অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাহেব দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েছেন। আসলে গণতন্ত্র ধ্বংসকারী মন্ত্রীদের মুখে এ ধরনের অবান্তর বক্তব্যই মানায়।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘এখন প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে দেখবেন দুই-আড়াই কোটি নয়, শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে আপনাদের দলের লোকজন। বিদেশে বেগম পল্লী, সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে। ঘরে ঘরে টাকশাল বানাচ্ছে। বিদেশে পাচার করছে। দেশের অর্থনীতি ফোকলা করে ফেলেছেন আপনারা।’

তিনি বলেন, ‘সংসদে দাঁড়িয়ে আপনাদের অর্থমন্ত্রী স্বীকার করছেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। গত দু’দিন আগে টিআইবি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছে- বাংলাদেশে দুই লাখ অবৈধ বিদেশি কাজ করে। যেখানে দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী বেকার সেখানে বাংলাদেশে অবৈধ বিদেশিদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। সরকার বলছে- দেশে একজনও বেকার থাকবে না। কিন্তু দেশের বেকারদের কথা চিন্তা মাথায় না নিয়ে অবৈধভাবে দেশে আসা বিদেশিদের কাজ করার সুযোগ দিয়ে বেকার তৈরির কারখানা তৈরি করেছে সরকার।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার চলছে ২ লাখ কোটি ঋণের টাকায়। আপনাদের দলের ছিঁচকে নেতাও এখন অবৈধ শত কোটি টাকার মালিক। তাদের শাস্তি হয় না। মামলা হলে দায়মুক্তি দেয় দুদক। আর যে নেত্রী একটি টাকাও তসরুপ করেননি, তাকে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার শিকার বানিয়ে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে হত্যার জন্য জেলে রাখা হয়েছে। তিনি এদেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। সেজন্য আওয়ামী লীগ প্রধান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হিংসা-প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছেন। গণমানুষের প্রাণাধিক প্রিয় দেশনেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে মুক্তি দিন। অন্যথায় আপনাদের করুণ পরিণতির দিন ঘনিয়ে আসছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপেদষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...