পিবিএ,কক্সবাজার: কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ঢুকতে মূলফটকে দেখা মিলে ফ্যাকাশে মুখ নিয়ে এক অসহায় যুবকের। এদিক ওদিক তাকিয়ে কি যেন বলতে চাইছে কিন্তু কেউ তার কথা শুনছে না। আবার কেউ কেউ শুনেও এড়িয়ে যাচ্ছে পাগল বলে। তার বাম পায়ে ব্যান্ডেজ, চারপাশে মাছি বনবন করছে। ব্যাথা আর শরীরের যন্ত্রণায় মুখে ফিসফিস করে আবুল তাবোল বলছে অনেক কিছু। হয়তো নানান রোগ ব্যাধিতে ভুগছে সে। জেলার দারিদ্র মানুষের সাস্থ্যসেবার ঠিকানা সরকারি সদর হাসপাতাল।
সরকার দরিদ্র ও অসহায়দের জন্যে সব সময় উম্মুক্ত এবং এখানে ফ্রী চিকিৎসা ও ঔষধ দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষগুলো। সঠিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। অথচ এ ভবঘুরে যুবক কথা বলতে পারে না বলে, চাইতে জানে না বলে তার অধিকার চিকিৎসা সেবা থেকে সে বঞ্চিত।
ফটক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন মানবতার চিকিৎসকগণ। এ ভবঘুরে যুবকটি কি কারো নজরে পড়ছে না? নাকি দেখেও দায়িত্ব এড়িয়ে প্রবেশ করেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা। এ সেবা খাত থেকে তো চিকিৎসকরা প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আয় করে ইট-পাথরের নগরীতে গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ ও কোটি টাকার গাড়ি ।
হয়তোবা এ যুবকটি তার পরিবারের একমাত্র ইনকাম সোর্স। যদি কেউ মানবতার হাত বাড়ায় তাহলে সেও সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে ফিরবে বাড়ি। আপনারা চাইলেই একটু দয়ার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আলোকিত করতে পারেন একটি জীবন প্রদীপ।
পিবিএ/টিএ/আরআই