পিবিএ ডেস্কঃ সম্প্রতি চলে গেল বিশ্ব হিমোফেলিয়া দিবস। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা হিমোফিলিয়া অসুখটি নিয়ে খুবই চিন্তিত। কারণ এই অসুখের বিশেষ কোন চিকিৎসা এখনও বেরয়নি। অথচ এদেশের অসংখ্য মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বংশগত এই অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে রক্ত সঠিকভাবে জমাট বাঁধতে পারে না। ফলস্বরূপ শরীরের বিভিন্ন পেশি ও অস্থিসন্ধিতে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হয়। রোগী ক্রমশ চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়েন।
তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রথম দিকে রোগটি ধরা পড়লে চিকিৎসার কিছু অবকাশ পাওয়া যায় একই সঙ্গে ফিজিওথেরাপি করে রোগী প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। বিশেষ করে হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চার ক্ষেত্রে চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি ভালো কাজ করে। চিকিৎসকদের মতে, হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য সরকরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগ নির্ণয়ক ব্যবস্থা রাখা, ফ্যাক্টর রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি এবং ফিজিওথেরাপির সুবন্দোবস্ত রাখা উচিত।
প্রথম দিকে এই রোগ ধরা পড়লে এবং সময়মতো চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপি করালে তারা স্বাভাবিক সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে। সমাজ এবং সরকারের উচিত হাতে হাত মিলিয়ে এই বিশেষ ধরনের ব্লাড ডিজঅর্ডারের রোগীদের জন্য কাজ করা। বিশেষ করে হিমোফিলিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার করা দরকার। কারণ এই রোগে সামান্য ভুল প্রাণহানির কারণ হতে পারে।
পিবিএ/এমআর