হেলিকপ্টারের বাতাস আগুনের তীব্রতা আরো বাড়িয়েছে!

বনানীর অগ্নিকাণ্ডে ব্যবহৃত হেলিকপ্টার

পিবিএ, ঢাকা: রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল হেলিকপ্টার।কিন্তু দুটি হেলিকপ্টারের বাতাসের কারণে আগুনের তীব্রতা আরো বাড়িয়েছেে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমদ খান বলেন, ‘আগুনের দিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। গ্রামে মাটির চুলায় আগুনের আঁচ যখন কমে যায় তা বাড়ানোর জন্য চোঙা দিয়ে ফু দেয়া লাগে। বাতাসে আগুনের তীব্রতা বাড়ে। সেদিন বনানীর ঘটনায় হেলিকপ্টারের বাতাস আগুনের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। তা না হলে আগুন আরও দুই ঘণ্টা আগে নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।

‘ওইদিন হেলিকপ্টার ব্যবহারের ফলে তা থেকে সৃষ্ট বাতাস আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারতো। হেলিকপ্টার যখন উদ্ধারের জন্য নিচে নেমে ভবনের কাছাকাছি চলে আসে, তখন ফায়ার সার্ভিসের জীবনরক্ষাকারী সিঁড়িগুলো (ল্যাডার ইউনিট) নড়চড় করছিল। সেগুলো পড়ে যেতে পারতো।’

তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টার বনজঙ্গলের আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত হয়, ভবনের নয়।’

ঘটনাস্থলে আসা একটি হেলিকপ্টার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের আগুনে হেলিকপ্টারের ব্যবহার উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হয়। কর্তৃপক্ষের চিন্তাভাবনা ছিল যেহেতু অনেকে ছাদে আছেন, তাদের জীবন বাঁচাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। দু-তিনবার হেলিকপ্টার যখন একটু বেশি নিচে নামে তখন প্রচুর বাতাস হয়, আগুনের তীব্রতা তখন বেড়ে যায়। পরে যখন আমরা তাদের বলি যে, আগুন বাড়ছে তখন হেলিকপ্টার চলে যায়। তিনি আরো জানান, একই ঘটনা ঘটেছিল বসুন্ধরা সিটির অগ্নিকাণ্ডের সময়ও।

আগুন লাগার পরপরই দুটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার ওপর থেকে পানি ও বালি ছেটায়। একপর্যায়ে তারা ভবন থেকে ৫০-৬০ ফিট উঁচুতে এসে দুজনকে উদ্ধার করে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্ত শেষে আগুনের কারণ ও সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যাবে।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...