পিবিএ ডেস্ক: সারা বিশ্বে এখন করোনার দাপট। কী অর্থনীতি, কী রাজনীতি সবখানেই আজ করোনার থাবা। ভয়ংকর এই ভাইরাস ছাড়েনি ক্রীড়াঙ্গনও। বাদ দেয়নি ক্রিকেটার, ফুটবলার, অ্যাথলেট কিংবা এ জগতের অন্যদের। ক’দিন আগে ইতালি ছেড়ে নিজ দেশ পর্তুগালে পাড়ি জমান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সেখানে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে যান সিআর সেভেন। এবার একই কাতারে নাম লেখালেন বর্তমান সময়কার আরেক জনপ্রিয় তারকা লিওনেল মেসি। নিজের ইচ্ছাতেই বার্সেলোনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। সেখান থেকে ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন কিছু কথা, দিয়েছেন কিছু পরামর্শ।
যেভাবে কাটছে সময়
খেলার মানুষ, খেলাই তো তার প্রাণ। যার সঙ্গে সেই শৈশব থেকে সম্পর্ক। সেই ফুটবল ছেড়ে এখন ঘরবন্দি মেসি। তারপরও কি ফুটবল ছাড়া গেল! পুরোনো হাইলাইটস, কখনও ভিডিও গেমস আবার কখনও সন্তানদের নিয়ে গল্প-আড্ডায় কাটছে মেসির সময়টা। করোনার ঝুঁকি এড়াতে নিজ দেশ আর্জেন্টিনায়ও যাননি। বার্সার হোমে পুরো পরিবার নিয়ে কোয়ারেন্টাইন করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিটি নিয়ম এ টু জেড পালন করছেন। কোথাও বেরোনোর সুযোগ যে নেই। তাই তো মাঝেমধ্যে দুই ছেলেকে নিয়ে ফুটবলটাও খানিকক্ষণ নেড়েচেড়ে দেখেন। বর্তমান সময়কার অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসির জীবনে এভাবেই পড়েছে করোনার প্রভাব।
করোনা নিয়ে পরামর্শ
নিঃসন্দেহে কঠিন একটা সময় কাটাচ্ছে সবাই। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, কখন যে কী হয় বলা মুশকিল। অনেকের অবস্থা খুবই খারাপ। হয়তো সে নিজেই আক্রান্ত, আবার তার বন্ধু বা পরিবারের কেউ। তাদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে আমাদের উচিত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। অনেকে আবার হাসপাতালে এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছেন, কেউ কেউ তাদের সেবা দিচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তা তাদের আরও শক্তি দিক। আসলে সবকিছুর আগে স্বাস্থ্য। এটা সত্যিই ভিন্ন একটা সময়। আমাদের উচিত হবে স্বাস্থ্য সংস্থা এবং নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা। আমার মনে হয়, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার এটাই এখন একমাত্র উপায়। তা ছাড়া ঘরে থাকার জন্যও এটা দারুণ একটা সুযোগ। যেটা সব সময় পাওয়া যায় না। ভালোবাসার মানুষটিকে সময় দিন। ঘরে থাকুন। আশা করি শিগগিরই এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসবে বিশ্ব।
কবে ফিরবেন মাঠে
লা লিগার বন্ধ, কাতার বিশ্বকাপের বাছাইও হচ্ছে না। তাতে মেসিরও সহসাই মাঠে নামার সুযোগ নেই। যেহেতু পরিস্থিতি পুরোটাই ঘোলাটে। করোনায় অনেকটা স্থবির বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। তাই হলফ করে বলা মুশকিল, আবার কবে মাঠে ফেরেন মেসি। এদিকে পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য বার্সা তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। খেলোয়াড়দের সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে ক্লাবটির মেডিকেল বিভাগ। পাশাপাশি লা মাসিয়াও রয়েছে তাদের আলাদা নজরে। যেখানে তরুণ কয়েকজন খেলোয়াড়কে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দাপ্তরিক কাজও আপাতত বন্ধ। এসব দিক বিবেচনা করলে মেসি তো দূরে থাক, টিম বার্সাও সুস্পষ্ট করে বলতে পারবে না কবে আবার মাঠে নামতে পারবে তারা।
