পিবিএ ডেস্ক : মেক্সিকো- যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে দেয়াল তোলা নিয়ে ক্রমাগত বাগড়া দিচ্ছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। তার জেরে যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন আজ পা রাখল ২৪তম দিনে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তবু তার সিদ্ধান্তে অনড়। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর তিনি দিনভর ডেমোক্র্যাটদের মৌখিক আক্রমন করেছেন। আর সন্ধ্যায় ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বার্গার আনিয়ে জমিয়ে উৎসব করলেন হোয়াইট হাউসে। যা নিয়ে প্রশ্নও উঠল! ট্রাম্প তবু ট্রাম্পেই বিদ্যমান। তিনি বলেন, ‘শাটডাউনের জন্যই তো অর্ডার করে ফাস্ট ফুড আনাতে হল। ভালই হল। আশাকরি এবার আমি বোঝাতে পারলাম যে, দেশে কোথাও কোনও সমস্যা নেই।’
শাটডাউনের জেরে বেতন বন্ধ প্রায় ৮ লক্ষ ফেডারেল সরকারি কর্মচারীর। একই হাল হোয়াইট হাউসের আবাসিক কর্মীদের। কেটারিং সামলানোর লোক বেশিরভাগই ছুটিতে! জাতীয় স্তরে কলেজ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ক্লেমশন টাইগার্স টিমকে হোয়াইট হাউসে ডেকে প্রেসিডেন্ট তাই নিজেই নৈশভোজের আয়োজন করলেন। কী ছিল মেনুতে?
স্টেট ডাইনিং রুমে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পই জানালেন— ৩০০টা বার্গার, পিৎজ়া আর প্রচুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। তবে সরকারি অর্থে নয়। প্রেসিডেন্টের কথায়, গাঁটের টাকা খরচ করেই খাবার আনিয়েছেন। কত খরচ হল, তা অবশ্য জানা যায়নি।
মাপা আয়োজন। খাবার এল ছোট্ট, ছোট্ট প্যাকেটে। আর প্রতি প্যাকেটের উপর প্রেসিডেন্টের নিজস্ব নিরাপত্তা সিল। এত কড়াকড়ি! প্রশ্ন উঠতেই ফের দেয়ালের প্রসঙ্গ আনলেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘যে যা-ই বলুক। দেশবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে পিছু হটার কোনও প্রশ্নই নেই।’
বৈঠকি মেজাজে প্রেসিডেন্টকে সামনে পেয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলেন, এসবের মধ্যে কোনটা তার সবচেয়ে প্রিয়। টিভি ক্যামেরার সামনে একাধিকবার চিজ় বার্গার নিয়ে বসতে দেখা গিয়েছে তাকে। এদিন যেন রাজনৈতিক প্রচারের ঢঙেই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি যখন, তখন সবই আমার প্রিয় ‘
হাউসের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি এই প্রাচীর-প্রস্তাবকে গোড়া থেকেই ‘অনৈতিক’ বলে বিরোধীতা করে আসছেন। কাল তাকেই নিশানা করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার দেখা সব চেয়ে বড় প্রাচীর রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির চারপাশে। নিশ্চয়ই আপনারা বলবেন না যে, পোপ ফ্রান্সিস থেকে শুরু করে ওখানে যারা থাকেন, সবাই অনৈতিক! ওদের আছে যখন, আমাদের প্রাচীর নিয়ে আপত্তি কেন!’
পিবিএ/জিজি
