পিবিএ ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১০ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচটি ধাপে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। প্রথম ধাপে ১৭ জেলায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সকল ধাপের এ পরীক্ষা শুক্রবার আয়োজন করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮’ জেলাওয়ারী প্রার্থী সংখ্যা ও পরীক্ষা আয়োজনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ৫ ধাপে সকল জেলায় নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামী ১০ মে আয়োজন করা হবে। এ ধাপে মোট ১৬টি জেলায় ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
তালিকায় দেখা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ১৭ মে (শুক্রবার)। এ ধাপে মোট ২৩ জেলায় ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২ জন প্রার্থী রয়েছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৪ মে (শুক্রবার)। এ ধাপে মোট ২৩ জেলায় ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১৪০ জন প্রার্থী রয়েছে। চতুর্থ ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা হবে ৩১ মে (শুক্রবার)। এ ধাপে মোট ১৯টি জেলায় ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৫১ জন প্রার্থী রয়েছে। এছাড়াও পঞ্চম বা শেষের ধাপে ১৪ জুন (শুক্রবার) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শেষ ধাপে ২০ জেলায় ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪ জন নিয়োগ প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, যে সকল জেলায় ২০ হাজার বা তার কম প্রার্থী রয়েছে সেসব জেলায় এক ধাপে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর অধিকসংখক যে সকল জেলায় নিয়োগ প্রার্থী রয়েছে সেখানে একাধিক ধাপে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। প্রত্যেক ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত (দেড় ঘণ্টা) অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারে। পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রত্যেক প্রার্থীকে পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, প্রস্তুতি ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ মে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রার্থী বেশি থাকায় ৫ ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। পৌর এলাকার মধ্যে এবার পরীক্ষা নেয়া হবে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়ারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দেবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার ২০ সেট প্রশ্ন তৈরি করা হবে।
সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জুলাই ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। ১২ হাজার আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে মোট ২৪ লাখ ১ হাজার ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ জন।
পিবিএ/এমআই