পিবিএ, রংপুর : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ১০ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে কর্মচারী ইউনিয়ন (৪র্থ শ্রেণি)। অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (কর্মকর্তাদের) কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে কর্মচারীরাও আন্দোলনের নামেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল চত্বরে কর্মবিরতি শুরু করে কর্মচারী ইউনিয়ন। এদিকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধ, পেনশন নীতিমালার বাস্তবায়ন ও বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের চাকরিতে পুণর্বহালসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়ন।
এব্যাপারে কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হই। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্র্রুত আমাদের দাবি মেনে নেবে। অন্যথায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলতেই থাকবে’।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আগামী সিন্ডিকেটের আগে কর্মচারীদের নীতিমালা পাশ, চলতি মাসেই ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া পরিশোধ, দ্রুত পেনশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের চাকরীতে পুনর্বহাল, দূরের কর্মচারীদের জন্য গাড়ি ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতিকে লাঞ্চিত করার ঘটনার বিচার করা, কর্মচারী নিয়োগ কমিটিতে কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখা ও মাস্টারোল কর্মচারীদের চাকরী স্থায়ী করা।
অন্যদিকে টানা তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যহত রেখেছে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আমিনুর রহমানকে অব্যাহতি, ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফাকে সংস্থাপন শাখা থেকে অন্য দপ্তরে বদলিসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি করছেন তারা। কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে আজ সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয় কর্মকর্তারা।
এবিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্বাস উপাচার্য মহোদয় আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় আমাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
এদিকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে দাপ্তরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেঙে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমভ।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কমিলমউল্লাহ এবং রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেন নি।
পিবিএ/জেডআই
