১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পিবিএ ডেস্ক: বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে ১৩ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স এবং ১৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নতুন করে আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার (২৮মে) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক । এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারই অংশ হিসেবে প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, নতুন-নতুন মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, পোস্ট এ্যাম্বুয়েট নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছি।

চিকিসকদের জন্য উচ্চশিক্ষার আসন বৃদ্ধি, নতুন কোর্স চালু করা, নার্সিং বিষয়ে পিএইচডি ও মাস্টার্স প্রশিক্ষণ, বিএসসি নার্সিংয়ের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, জিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালুকরণসহ দক্ষ জনবল তৈরিতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য আমাদের পরামর্শ হলো— প্রসবের জন্য প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা। প্রসবকালে মায়ের খুব জটিল পরিস্থিতি না হলে সিজারিয়ান না করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।’একই সঙ্গে জটিলতা এড়াতে সন্তান প্রসবের সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‌‘মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন সম্ভব না হলেও সরকার এ ব্যাপারে কাজ করছে। ২০১৫ সালে মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখে ১৪৩ জন থাকার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে আমাদের দেশে এটা ছিল ১৭৬ জন। প্রতি লাখে ২০১৮-১৯ সালে এটা ১৭২ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০৩০ সালে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’

দারিদ্র্যের হার কমলে এবং পুষ্টির হারের উন্নয়ন ঘটলে মাতৃমৃত্যু কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগের দুই সচিব উপস্থিত ছিলেন।

পিবিএ/আরআই

আরও পড়ুন...