১২ দিনেও পরিচয় মেলেনি ঢামেকে চিকিৎসাধীন এক কিশোরের

পিবিএ, ঢামেক: ১২ দিনেও পরিচয় সনাক্ত হয়নি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক কিশোরের। তবে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।

হাসপাতালের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের অতিরিক্ত-৫ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন অজ্ঞাতনামা ১৫ বছর বয়সের এই কিশোর। সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ডে ঢুকতেই নার্সিং স্টেশনের ঠিক সামনের বিছানাতেই শুয়ে আছে এক কিশোর। হাতে স্যালাইন লাগানো আর নাকে খাবারের নল লাগানো। মাথার পুরোটা মোড়ানো সাদা ব্যান্ডেজ দিয়ে।
তার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেই এগিয়ে আসে পাশের বিছানায় চিকিৎসাধীন এক রোগীর মা। এই কিশোরের কোনো স্বজন তার সঙ্গে নেই বলে জানান তিনি। আশপাশের রোগীর স্বজনরা, স্টার্ফ, নার্সরাই তার দেখাশোনা করেন। তাদের মধ্যেই কেউ কেউ কিশোরটিকে খাবার খাওয়ান। তবে এখনও তার জ্ঞান ফিরেনি। একটি বারও চোখ মেলে তাকায়নি সে। শুধু মাঝেমাঝে এপাশ ওপাশ হয়।
জানা যায়, চলতি মাসের ৮ তারিখ অজ্ঞাতনামা এই কিশোরকে হাসপাতালের নিউরো সার্জারির ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। প্রথমে ওয়ার্ডের অজ্ঞাতনামা রোগীদের স্থানে এই কিশোরকেও রাখা হয়। তবে তাকে দেখে সবার মায়া হওয়ায় ভালো পরিচর্যার জন্য নার্সিং স্টেশনের ঠিক সামনের বিছানায় আনা হয় তাকে।
১০০ নম্বর ওয়ার্ডের নার্সিং ইনচার্জ মৃণাল চন্দ্র দাস বলেন, ছেলেটির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। গত ৮ তারিখ রুবেল মৃধা নামের এক ব্যাক্তি তাকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি বলেন, ওর ভালো দেখভালের জন্যই ওকে স্টেশনের সামনের বিছানায় রাখা হয়েছে। এখানে থাকায় সবার নজর পড়ে ওর দিকে। সবাই দেখাশোনা করে। ওর মাথার ব্রেইনের অপারেশন করা হয়েছে। মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিলো। মাথার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। এখন শুধু স্যালাইন ও খাবার ঔষধ চলছে। তবে এখনও তার জ্ঞান ফিরেনি। তবে কিছুক্ষণ পরপর নড়াচড়া করছে। নিউরো সার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক তার জন্য ২ হাজার টাকা দিয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডের সবাই তার খাবার, ঔষধের জন্য টাকা-পয়সা দেয়। এ দিয়েই তার চিকিৎসা চলছে। সবাই আন্তরিকভাবেই তার দেখাশোনা করছে।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রুবেল মৃধার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি নরসিংদী সদর হাসপাতালে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালক। গত ৮ তারিখ দুপুরে কয়েকজন লোক ওই কিশোরকে সদর রেলস্টেশন থেকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ওইদিন বেলা ৩ টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসকের পরামর্শে আমিই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। তবে সে কিভাবে আহত হয়েছিলো তা আমি বলতে পারিনা। ওর পরিচয় জানার চেষ্টায় আমরাও নরসিংদী সদর এলাকায় অনেকের সাথেই যোগযোগ করছি।
পিবিএ/এইচএ/জেডআই

আরও পড়ুন...