১ মণ ধানে একজন শ্রমিক

 

পিবিএ,বাগেরহাট: বাগেরহাট সহ দেশের সব এলাকাতেই প্রায় শুরু হয়ে এসেছে মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তোলার ধুম। ফলে চলতি বোরো মৌসুমের ধান কাটা ও মাড়াই শেষে গোলায় তুলতে এখন ব্যস্ত চাষিরা। এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। ফণীর তাণ্ডবে কৃষকরা আধাপাকা ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করলেও শ্রমিক সংকটের কারণে তা হয়ে উঠেনি।

মাঠে একযোগে ধান কাটা শুরু হওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ সাড়ে শ’ ৫থেকে ৬শ’টাকা দরে। অথচ একজন শ্রমিকের দাম হাকানো হচ্ছে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা।কিছু কিছু এলাকাতে মজুরি আরও বেশি। শ্রমিকের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। গত কয়েকদিনের ঝোড়ো হাওয়ায় মাঠের বেশির ভাগ ধান নুইয়ে পড়াই শ্রমিক লাগছে তুলনামূলক বেশি।বাগেরহাটের ৯ উপজেলার প্রায় এলাকাতেই শুরু হয়ে এসেছে মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তোলার ধুম। ফলে চলতি বোরো মৌসুমের ধান কাটা ও মাড়াই শেষে গোলায় তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।

এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষি শ্রমিকের দাম বেশী থাকায় হতাশ চাষিরা, তাদের এই হতাশা পুরো মৌসুম জুড়ে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে শ্রমিক স্বল্পতা ও অতিরিক্ত মজুরি। শ্রমিক সংকট ও মজুরির অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই এখন এক মণ ধানের বাজার মূল্য একজন শ্রমিকের দিনের পারিশ্রমিকের সমান। কিছু কিছু এলাকাতে মজুরি আরও বেশি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ধান চাষি আলমগীর হোসেন জানান, একজন শ্রমিক তিন বেলা খাওয়া এবং দিন শেষে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা দিতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় একজন শ্রমিকের পেছনে দিন শেষে যে খরচ তা উঠবে বলে মনে হয় না। গত মৌসুমেও শ্রমিক সংকট ও মজুরির হার এমন তীব্র ছিল না। কিন্তু নানা কারণে এবার শ্রমিক সংকট এতো বেশি যে, আগের মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুণ পারিশ্রমিকও দিতে হয়েছে কোনো কোনো এলাকায়। শ্রমিক সংকট ও পারিশ্রমিকের এ পার্থক্যের কারণ হিসেবে জানা যায়, এ অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় একই সময়ে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় শ্রমিক চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকরা প্রয়োজনীয় শ্রমিক পায় না।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, এবার বাগেরহাট ৯উপজেলায় ধানের ফলন ভাল হয়েছে। এরইমধ্যে ধান কাটা মাড়াও শুরু হয়েছে। ফণির আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে কৃষকরা তাদের আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করে। এছাড়া মাঠের ধান পেকে যাওয়ায় সবায় একযোগে ধান কাটা শুরু হওয়ায় শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।এ বিষয়ে ফকিরহাটের স্থানীয় ধান চাষী মন্টু জানান, একজন শ্রমিক তিন বেলা খাওয়া এবং দিন শেষে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দিতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় একজন শ্রমিকের পেছনে দিন শেষে যে খরচ তা উঠবে বলে মনে হয়না। গত মৌসুমেও শ্রমিক সংকট ও মজুরির হার এমন তীব্র ছিল না।

কিন্তু নানা কারণে এবার শ্রমিক সংকট এতো বেশি যে, আগের মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুণ পারিশ্রমিকও দিতে হয়েছে কোনো কোনো এলাকায়। শ্রমিক সংকট ও পারিশ্রমিকের এ অস্বাভাবিকতার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখো গেলো ব্যতিক্রম বাদে পুরো দেশের চালচিত্র একই রকম। দেশের অধিকাংশ এলাকায় একযোগে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকরা প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাননি। তবে আগাম চাষের এলাকায় এ সমস্যা ছিল না।

পিবিএ/এসআইকে/হক

আরও পড়ুন...