২য় স্ত্রীর লাশ রেখে পালালো স্বামী

moina-was-kiied-by-husbend-.পিবিএ,ঢাকা: স্ত্রীর লাশ স্বজনদের বাসায় নিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে মনির হোসেন নামে এক শাড়ি দোকানদার। ওই গৃহবধূর নাম ময়না আক্তার (২২)। ৬ মাস আগে ১ম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর কয়েক মাস হয় ময়নাকে বিয়ে করেছে মনির।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মনিরের স্বজনরা ময়নাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে আসা মনির হোসেনের ভাতিজা রুবায়াত আদনান ও ভাবি লিপী বেগম পিবএ‘কে জানান, তারা থাকেন খিলগাঁও সিপাহীবাগে ৪ তলা গলিতে। আগে মনিরও তার ১ম স্ত্রী আমেনা ও ২ মেয়ে মোহনা (৬) ও মায়শাকে (৩) নিয়ে এই বাসাতেই থাকতেন। ইস্টার্ন প্লাজায় শাড়ি দোকানদার সে। ৬ মাস আগে ১ম স্ত্রী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কিছুদিন পর ময়নাকে বিয়ে করে মনির। তবে এই বিয়ে করার কারণে স্বজনদের কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নন্দিপারা রসুলবাগ এলাকার একটি ৭ তলা বাসার ৩ তলায় থাকতে শুরু করে মনির। তাদের সঙ্গে থাকে ১ম স্ত্রীর ২ মেয়েও।

তারা আরো জানান, সন্ধ্যায় ২ মেয়ে সহ মনির একটি সিএনজি করে ময়নাকে অচেতন অবস্থায় ভাবির বাসা খিলগাঁও সিপাহীবাগে নিয়ে আসেন। তখন সে ভাবি সহ অন্যদের জানায়, ময়না অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। ওকে হাসপাতালে নিতে হবে। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স আনার কথা বলে ওই বাসা থেকে বের হয়ে যায় মনির। এর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও মনির আর ফিরে না আসলে তারাই ময়নাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে মনিরের ১ম স্ত্রীর বড় মেয়ে মোহনা পিবিএ‘কে জানায়, প্রায় সময়ই ঝগড়া হত বাবা-মায়ের মধ্যে। আজ বিকেলেও মারধর করে মা (সৎ) ময়নাকে। এর পর তিনি পাশের রুমে গিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে আশপাশের লোকজন দরজা ভেঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামায়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চাত করে পিবিএ‘কে জানান, ময়নার শরীরে ছোটছোট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে। ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

পিবিএ/এইচএ/হক

আরও পড়ুন...