পিবিএ ডেস্ক: ডেনের্মাকে ২৫ বছরেও অবিবাহিত বা কোনরূপ প্রমেরে সর্ম্পকে জড়ান নি, এমন যুবক-যুবতীদের তাদের ২৫তম জন্মদিগনে পড়তে হয় নানা সমস্যার মধ্যে। কারণ ২৫তম জন্মদিনে তাদের সারা গায়ে ছটিয়িে দয়ো হয় দারচনিরি গুঁড়া। কউে কউে আবার পানিও ছিটিয়ে দেন যেন দারচনিরি গুঁড়া গায়ে একদম মেখে যায়।
ভাবছনে, এটা করতে যার জন্মদিন তার নিশ্চয়ই অনুমতি নিয়ে নেয়া হয়। মজার ব্যাপার, এটা করবার সময় কউে কোনরকম অনুমতরি তোয়াক্কাই করনে না। এই প্রথার উদ্দশ্যেই হল, ২৫শে পা রাখা যুবক-যুবতিটাকে মনে করিয়ে দেওয়া- অনেক হল হেলাফেলা, এই দফা তোমার বিয়ের বয়স হয়েছে।
বলা হয়, এমন প্রথার শুরুটা হয়েছিল শত বছর আগে। মশলা বিক্রির জন্য যে সমস্ত সেলসম্যানরা ঘুরে বেডাতেন চারপাশে, তাদরে পক্ষে ঘর-সংসার পাতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠত। কোনও এক জায়গায় স্থায়ীভাবে যে থাকা হয়ে উঠত না। এমন অবিবাহিত সেলসম্যানদরে বলা হত ‘পেপার ডুডস’। আর এমন অবিবাহিতদের ডাকা হত ‘পেপার মেইডেন’ নামে।
ডেনর্মাকের তরুণ প্রজন্ম যেন এই ‘পেপার ডুডস’ বা ‘পেপার মেইডেন’ দের পথে হাঁটা না ধরেন, তাই এই প্রথা মানা হয়। যে সব যুবকদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, অথচ সংসারহীন, তাদের গায়ে দারুচনিরি গুঁড়া ছিটিনো হয়। তবে বয়স যদি ৩০শের কোঠা পেরিয়ে যায়, তাহলে তাদের জীবন হয়ে ওঠে আরও র্দুবষিহ। তখন দারচিনিতে আর কাজ হবে না! লাগবে মরচিরে গুঁড়া। ঠকি তাই, তখন মরচিরে গুঁড়া ছিটানো হবে তাদরে শরীরে।
শুধু মরিচের গুঁড়াই না, তার সাথে ডমিও ছুড়ে মারা হয়। যাতে ডিমের সাথে মাখামাখি হয়ে সারা শরীরে মরচিরে গুঁড়া মেখে থাকে।
এমনটা করার মধ্যে দিয়ে তাদরে ২৫ বছর বয়সের আগেই ঘর বাঁধার বিষয়ে পরোক্ষভাবে উৎসাহতি করা হয়। তাই বলে ডেনর্মাকের সবাই ২৫শেই বিয়ে করে ফেলেন এমনটা ভাবার কোন নেই। বরং এর উল্টাটাই ঘটে থাকে। ডেনর্মাকে পুরুষদরে বিয়ের বয়স গড়ে সাড়ে ৩৪ আর নারীদের গড়ে ৩২ বছর।
তাই সে দেশের ৩০শের নীচে থাকা অবিবাহিতদের জীবনে স্বস্তি নেই। তবে এটাকে শাস্তি হিসাবে ভাবা যাবেনা। বরং অবিবাহিতদের সঙ্গে একটু ঠাট্টা-মশকরা করাটাই হলো এই প্রচলতি প্রথার আসল উদ্দশ্যে। আর সেই সাথে যেন বুঝিয়ে দেয়া- অনেক হল, এ বার একটু ঘর বেধে স্থির হও!
পিবিএ/এসআই