বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৬ মার্চ (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদির সফরের দিন বাংলাদেশে যে ঘটেছে, সেটা ছিল পরিকল্পিত। আপনারা বলছেন ‘হেফাজতের তাণ্ডব’। আমি এ কথার সঙ্গে একমত নই। তাণ্ডব করেছে সরকার। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সরকার এ তাণ্ডব চালিয়েছে। যখন হেফাজতে ইসলাম ও বাম দলের লোকজন মোদির সফরের বিরোধিতা করে, তখন সরকারি দলের লোক হেফাজতের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাণ্ডব চালিয়ে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে ২০ জনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকার আলেম-ওলামা এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করেছে।
গুলশানে আজ শুক্রবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যারা ক্ষমতা আছে, তারা দেশটাকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের নারী ও শিশু অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নিপুন রায়কে হেফাজতের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার কথিত অভিযোগে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে। অথচ সেই রিমান্ড আর শেষ হয় না। তাকে পরিকল্পিতভাবে, সুচিন্তিতভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। কারণ তারা বলতে চায় ‘তুমি (নিপুন রায়) একজন হিন্দু নারী, আমাদের (সরকারের) বিরুদ্ধে কথা বলো কেন?’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, নিপুন রায় চৌধুরী ও আসলাম চৌধুরীদের জেলে আটকে রেখেছে। কারণ একটাই, তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। ম্যাডামকে কোন আইনে আটক রেখেছে? ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত, ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা জামিনে আছে, অথচ ম্যাডামের সাজা পাঁচ বছরের জায়গায় ১০ বছর করেছে। তারপরও আমরা আশা নিয়ে বেঁচে আছি, বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছি, আমরা বিজয়ী হবই হব। আমরা লড়াই করছি, সে লড়াইয়ে বিজয়ী হব।’
মির্জা ফখরুল অবিলম্বে খালেদা জিয়া, নিপুন রায় চৌধুরী, আসলাম চৌধুরীসহ দলের ও বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারকে বলব, মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, মানুষকে বেঁচে থাকতে দিন। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ফেরাউন, নমরুদ, হিটলার, মুসোলিনি- কেউ বাঁচতে পারেনি, এটা ইতিহাস।’