সরকার অত্যন্ত ভয় পেয়েছে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সামনে পূজার ছুটিতে বিদায় নিন, সম্মানের সাথে সেইফ এক্সিট নিবেন না গণআন্দোলনের মাধ্যমে করুণ পরিণতি ভোগ করে বিদায় নিবেন। সময় কিন্তু এই পূজার ছুটিটুকু, এটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বললাম।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি’র দাবিতে জনসমাবেশের আয়োজন করে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আর নাই, এই সরকার আর ক্ষমতায় নাই। ভালোর ভালো এই কয়েকদিনে ক্ষমতা ছেড়ে দেন, বিদায় নেন, অন্যত্থায় ফয়সালা হবে রাজপথে।
বিএনপি মহসচিব বলেন, যতই সময় যাচ্ছে,ততই তারা গ্রেফতার বাড়িয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। আজকের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল সারাদেশ ২৫০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ফেসবুকে সরকার প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে, স্যোসাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে, কিন্তু তারা সফল হয়নি, আজকে লাখো জনতার সমাবেশে তা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন কথা বেশি বলতে চাই না, এখন কাজ করতে চাই, আমরা কাজে নেমে পড়েছি। ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নূন্যতম সুযোগ দিচ্ছে না শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা কতটা নির্মম-বেগম জিয়ার চিকিৎসাটা পযন্ত করতে দিচ্ছে না। আমাদের নেতাদের সাজা দিচ্ছে, সিনিয়র নেতাদের সাজা দিয়েছে, মোট ৯৬ জন সিনিয়র নির্বাচন যোগ্য নেতা। যদি নির্বাচন যোগ্য নেতাদের সাজা দিয়ে মাঠে খালি করতে পারে তাহলে সব পরিষ্কার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কোনো প্রেসিডেন্ট নাই অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নাই, কারণ প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে গেলে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে যেতে হয়, অথচ এক্ষেত্রেও তারা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এরা ২০১৪ সালে ১৫৪ জন এমপি বিনা ভোটে এমপি হয়েছে, ২০১৮ সালে রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। এবারো আবার সেই অপচেষ্টা করছে বিনা ভোটে নির্বাচন করার জন্য।
আগামী কর্মসূচি ঘোষণাকালে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকয় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এই কর্মসূচি যুগপৎ আন্দোলনের আংশিক কর্মসূচি। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে। এর সরকার পতন না করে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। এই প্রোগ্রাম হবে শান্তিপূর্ণ, আমাদের সকল কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা অশান্তি সৃষ্টিকারী সরকারের পতন ঘটাবো।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের বসাবসির কোনো কর্মসূচি নাই, আমাদের কর্মসূচি সরকার পতনের কর্মসূচি। ওবায়দুল কাদের স্বীকারোক্তি দিলেন যে বিএনপি ঢাকা বসে পড়লে শাপলা চত্বরে মতো অবস্থা হবে, তাহলে যে আপনারা শাপলা চত্বরে আপনারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন।
তিনি বলেন,‘তবে আপনাদের মনে রাখতে হবে শাপলা চত্বরের লোকজন আর আমরা এক নই , আমরা তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনো করেছি। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ বাশঁ নিয়ে নামলে আমরাও বাশঁ নিয়ে নামবো, কথা পরিষ্কার। আওয়ামী লীগ সহিংসতা করলে আমরা বসে থাকবো না।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন পদত্যাগ করুন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার আগে কোনো আলোচনা হবে না। বিএনপি অবশ্যই আলোচনায় বিশ্বাস করে, তবে সেটা শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার আগে নয়।
খসরু বলেন, পূজার ছুটিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে পদত্যাগ করেন, আপনারদের হাতে এই পূজার ছুটির কয়েকটা দিন সময় আছে, তারপর আমরা আলোচনা করে নির্বাচনের আয়োজন করবো।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীর উত্তম, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা রফিকুল ইসলাম, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের ডা. হারুন আল রশীদ, ডা. মো: আব্দুস সালাম, ডা. এ কে এম আজিজুল হক, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মো: মেহেদী হাসান, ডা. মো: শহিদুল আলম, ডা. শহিদ হাসান, ডা. তৌহিদুর রহমান ববি, ডা. পি সি মল্লিক, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. পারভেজ রেজা কাঁকন, ডা. মো: রফিকুল ইসলাম, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, ডা. মো: শহিদুল ইসলাম শহীদ, ডা. মো: শহীদুল হাসান বাবুল, ডা. মো: সাইফুল্লাহ, ডা. মো: দিদারুল আলম, ডা. আবু নাসের, ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল, ডা. আবু সায়েম, ডা. মনোয়ার সাদাত, ডা. ফকির ওয়ালিদ শাহ, ডা. এম এ কামাল, ডা. গাজী শাহিনুল ইসলাম, ডা. জালাল উদ্দিন রুমী, ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী, ডা. মাসুদ আক্তার জিতু, ডা. আবু নাসের, ডা. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ডা. আশফাক নবী কনক, ডা. মো: আনোয়ার হোসেন মুকুল, ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. এ কে এম কবির আহম্মেদ রিয়াজ, ডা. নিলুফা ইয়াসমিন, ডা. বাসেদুর রহমান সোহেল, ডা. এ কে এম জিয়াউর রহমান জিয়া, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. বাসেদুর রহমান সোহেল, ডা. গালিব হাসান প্রিতম, ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. লাবিদ রহমান, ডা. মোতাহার হোসেন, ডা. হুমায়ূন কবির প্রিন্স, ডা. মাহাবুব শেখ, ডা. রেদোয়ান ফেরদৌস, ডা. আফিফ, ডা. মেহেদী হাসান শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।