২৯ দিন ধরে ২৫টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে

অগ্নিকান্ড
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২৫টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে।

জাকির হোসেন,পিবিএ, সৈয়দপুর(নীলফামারী): নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ সারা বাংলাদেশে মাঘের শীতের শেষ মূহুর্তে শুরু হয়েছে দমকা হাওয়াসহ তুমুল বৃষ্টি। এই অবস্থায় অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব হারানো ২৫টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে চরম মানবেতরভাবে। বিগত প্রায় ২৯ দিন যাবত আগুনের লেলিহান শিখায় ভিটে মাটি বাদে সবকিছু ভস্মিভুত হওয়ায় কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে ওই ২৫টি পরিবারের প্রায় দেড় শতাধিক সদস্য। অগ্নিকান্ডের পর উপজেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে খাবার, পোশাক ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র ত্রাণ দেয়া হলেও আজও তাদের মাথা গোজার কোন ব্যবস্থা হয়নি। ফলে তারা অত্যন্ত অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছে। একদিকে সব হারিয়ে তারা নি:স্ব, তার উপর শীতের দিনে বৃষ্টি ও বাতাসের প্রকোপে কাহিল অবস্থা তাদের। হতদরিদ্র পরিবারগুলো খাবার সংগ্রহ করতে না পারছে মাথার উপর এক টুকরো চালের ব্যবস্থাও করতে না পারছে। এমতাবস্থায় সরকারসহ দেশের বৃত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে তারা তাদের অসহায়ত্ব দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় আবাস নির্মাণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সরেজমিনে ৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী মুন্সিপাড়ায় গেলে করুণ দৃশ্য চোখে পড়ে। ২৫টি পরিবারের দিনমজুর লোকগুলো বৃষ্টির কারণে কাজে যেতেও পারেনি। তাছাড়া বাড়িতে যৎসামান্য খাবার ছিল তাও প্রায় শেষ। বৃষ্টি ও শীতে যবুথবু মানুষগুলো গাদাগাদি করে কোন রকমে প্রতিবেশীদের বাড়ির উঠানে বা বারান্দায়
অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছে। সামর্থবান পুরুষ ও মহিলারা কোনভাবে কাটিয়ে দিলেও শিশু, বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা চরম বেকায়দায় পড়েছে। খাবার না জুটলেও এখন তাদের সবচেয়ে প্রয়োজন মাথার উপর চাল। তা দেয়ার জন্য তারা আকুল আকুতি জানিয়ে বলেন, প্রতিদিনের খাবার কোনভাবে সংগ্রহ হলেও ঘর করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা এই মূহুর্তে জোগার করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই তারা সরকারী বা বেসরকারী সহযোগিতা না পেলে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পরবে। তখন জীবন যাপন করাই দূরহ হয়ে পরবে। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব এ
ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ওই অসহায় পরিবারের লোকজন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারী রবিবার রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৫টি পরিবারের ৫৭টি ঘর মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ওই পরিবারগুলো সর্বস্ব হারিয়ে চরম অসহায় হয়ে পড়ে।
এদিকে একই পরিস্থিতির শিকার গত ৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ডাক্তারপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৪টি পরিবারের ১৭ জনের।

পিবিএ/জেএইচ/জেডআই

আরও পড়ুন...