প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেখি বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজ ছিল না, পার্কিং ছিল না। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা দেশের মানুষকে কিছু দিয়ে যেতে পারেনি, আমরা এ দেশের মানুষকে সব দিয়েছি।
শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম ও সিলেট— এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করি।
তিনি বলেন, মানুষের যোগাযোগ ব্যবসাবাণিজ্য অর্থনীতি উন্নতির জন্য একান্ত অপরিহার্য। আধুনিক যুগের নৌপথ, সড়কপথ ও রেলপথের সঙ্গে সঙ্গে আকাশপথ সেটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। বিশেষ করে, এদের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ, সেই যোগাযোগের মূল বাহন হচ্ছে বিমান। অর্থাৎ আকাশ যাত্রাটা হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেটিকে গুরুত্ব দিই।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের বিমানবন্দর আরও পর্যাপ্ত আধুনিক, সুযোগ-সুবিধা যাতে সৃষ্টি হয়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ আমাদের দেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা বসবাস করে। তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে। আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায়। তারাও যাতায়াত করে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা আরও কিছু বিমান যখন নেব, তখন আমাদের আন্তঃজেলা সংযোগ বিমানের মাধ্যমে যাতে হয়, সেই পরিকল্পনা আমার রয়েছে। সেভাবে আমরা উন্নতি করতে চাই।
বিমানবন্দর রেলস্টেশন ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আন্ডার পাশের মাধ্যম সংযুক্ত করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলযাত্রীরাও স্টেশনে নেমে এই আন্ডার পাশ দিয়েই কিন্তু চলে আসবে। তবে অতদূর পায়ে হেঁটে আসতে হবে না, অন্যান্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সেখানে থাকবে। এমনকি পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থাও রাখা হবে।