ভারতের মুসলমানদের উপরে বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম নেতৃত্বে আগামী ৩০ জুলাই বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর পাশে পল্টনের আইএবি চত্বরে ইসলামী যুব আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যুব আন্দোলনের সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (পীর, চরমোনাই) বলেন, ক্ষমতাসীনরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব না করায় দেশে খুন, গুম, ধর্ষণ সহ সকল অপরাধ বেড়েই চলছে। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছেলে ধরাসহ নানা গুজব। যার ফলে ইতোমধ্যে বেশ কিছু নিরীহ মানুষের মানুষের জীবন হারাতে হয়েছে। ভোটবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারের সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণের ফলে দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পড়েছে।
তিনি বলেন, দেশ আজ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। দেশের সার্বভৌমত্ব বিলীন করার জন্য সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতিকে দায়ী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বিষোদগার করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসকন নামক জঙ্গি সংগঠন দেশে দাঙ্গা সৃষ্টি করার জন্য মুসলিম শিশুদেরকে হিন্দুধর্মের বাণী বলতে বাধ্য করেছে। এসকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে যুবসমাজকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি আগামী ৩০জুলাই বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল কর্মসূচি সফল করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভারতের মুসলমানদের ওপরে বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে যুব সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।
ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী মাওলানা নেছার উদ্দিনের পরিচালনায় জমায়েতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোছাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাকী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমুখ।
পিবিএ/বিএইচ
