পিবিএ,ঢাকা: আরো তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে হুয়াওয়েকে। তবে নতুন করে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে আরো কয়েক ডজন হুয়াওয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। গত মে মাসে জাতীয় নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে হুয়াওয়ের বাণিজ্য তীব্র সংকটের সম্মুখীন হয়। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞাটি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়। ওই স্থগিতাদেশের সময়সীমা শেষ হয় সোমবার। এমতাবস্থায়, স্থগিতাদেশ আরো ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে। সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উয়িলবার রস। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, হুয়াওয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকার না হলেও, ‘ইউএস এনটিটি লিস্ট’- এ যোগ করা হয়েছে হুয়াওয়ে সংশ্লিষ্ট ৪৬টি সংস্থার নাম। উল্লেখ্য, এনটিটি লিস্ট হচ্ছে বিশ্বজুড়ে সংস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকা। এই তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে মার্কিন ব্যবসায়ীরা কোনো প্রকার বাণিজ্য করতে পারবে না।
প্রাথমিকভাবে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয় যাতে প্রতিষ্ঠানটি গুগলের মতো মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সাময়িকভাবে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে পারে ও মার্কিন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারে। প্রসঙ্গত, হুয়াওয়ের স্মার্টফোনসহ অন্যান্য পণ্যগুলোতে গুগলের বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
রস জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির ওপর স্থগিতাদেশ বাড়ানোয় মার্কিন ভোক্তারাই সুবিধা পাবে। তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আরেকটু সময় দিচ্ছি। এর আগে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা¤প অবশ্য জানান, হুয়াওয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চিরতরে বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে পারে।
এদিকে, হুয়াওয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নাম কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের ধারণা, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, আজকের সিদ্ধান্ত কোনোদিক দিয়েই হুয়াওয়ের বাণিজ্যের ওপর স্থায়ী কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।
কেন এই নিষেধাজ্ঞা?
চীনা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছে হুয়াওয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হুয়াওয়ে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিজনক।
গত মে মাসে মার্কিন সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে। এতে করে মার্কিন সরকারের অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হুয়াওয়ের সঙ্গে বাণিজ্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তবে হুয়াওয়ের দাবি তারা সরকারি প্রভাবমুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তারা কোনো হুমকি নয়।
পিবিএ/ইকে