পিবিএ,মোংলা : মোংলা বন্দরের জেটিতে মোবাইল হারবার ক্রেনের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বন্দরের ৯নং জেটিতে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী কোটা রিয়া জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসের মাধ্যমে মোবাইল ক্রেনের অপারেশনাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেম্বর ফিন্যান্স ( যুগ্ম সচিব ) আফসানা ইয়াসমিন।
বুধবার সকাল ১১টায় মোবাইল ক্রেনের অপারেশন কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র মেম্বর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলতাপ হোসেন খান, পরিচালক ( ট্রাফিক ) মোস্তফা কামাল, প্রধান প্রকৌশলী ( সিভিল ) শেখ শওকত আলী, সহকারি ট্রাফিক ম্যানেজার মোঃ সোহাগ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মোঃ মাকরুজ্জামান প্রমূখ।
এসময় মোবাইল ক্রেন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান মিনা জানান মোবাইল ক্রেনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১৪ সারি কন্টেইনার বোঝাই গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং করা যাবে। এছাড়া ক্রেনটি সর্বোচ্চ ৮৪ টন কনটেইনার উত্তোলন করতে সক্ষম। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোবাইল হারবার ক্রেনটি জার্মান থেকে সংগ্রহ করেছে।
মেসার্স সাইফ পাওয়ারটেক লিঃ কর্তৃক মোবাইল হারবার ক্রেনটি সরবরাহ করা হয়। মোংলা বন্দরের সরঞ্জাম বহরে মোবাইল হারবার ক্রেনটি যুক্ত হওয়ার ফলে পানগাঁও বন্দর থেকে আসা কনটেইনারবাহী জাহাজ এখন থেকে হ্যান্ডলিং করা যাবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় মোবাইল হারবার ক্রেনটি সরঞ্জাম বহরে যুক্ত হ্ওয়ার ফলে বর্তমান জেটিতে বছরে অতিরিক্ত ৩৬টি কনটেইনারবাহী জাহাজ ও বার্জ হ্যান্ডলিং এর মাধ্যমে ১২ কোটি টাকার অধিক বাড়তি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
এছাড়া ৬৪টি চাকাযুক্ত ক্রেনটি বিদ্যমান জেটির লোড সহনশীলতার সীমার মধ্যে ৫ ও ৯ নং জেটি বরাবর চলতে পারবে। ক্রেনটি দ্বারা তিনটি মুডে অপারেশন করা যাবে। যথা স্প্রেডার অপারেশন, গ্রাব অপারেশন ও হুক অপারেশন। ২০২১ সালে পদ্মা সেতুর নির্মান কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দরের উপর যে চাপ পড়বে তা মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জনের প্রস্তুতি হিসেবে এ মোবাইল হারবার ক্রেনটি সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারি ট্রাফিক ম্যানেজার মোঃ সোহাগ।
পিবিএ/মোঃ নূর আলম/জেডআই