কোটা সংস্কার আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহত ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবি আদায়ে মিরপুর ১০ গোল চত্বরে প্রায় ৪ ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে করে সড়ক ছেড়েছে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ১০ নম্বর গোল চত্বরে জড় হয়ে এই বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিকাল সাড়ে চারটায় পরবর্তী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে ধীরে ধীরে স্থান ত্যাগ করতে থাকেন তারা।
এসময় মিরপুর ১০ দিয়ে চলাচল করা গাড়ি গুলো মিরপুর ২ দিয়ে যাতায়াত করে। বিক্ষোভ শেষে ৪ টা ৫০ আবারও যাতায়াত স্বাভাবিক হয়।
এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মিরপুর ১০ এর পশ্চিম পাশে পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়। পরে বিক্ষোভ শুরু হলে সোয়া ১টায় মিরপুর মডেল থানার ডিসি, এডিসি, ওসিসহ অনান্য পুলিশ কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের কাছে ডেকে কথা বলেন। তারা আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান নিতে বলেন। কোন বহিরাগত এসে যেন কোন ধরনের সহিংসতা করতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।
দুপুর দুইটার পর আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এসময় তা বিশাল স্রোতে রুপ নেয়। আলাদা দলে দলে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরাও এসেও যোগ দেয় বিক্ষোভে। অনেক অভিভাবকও তার সন্তানদের সঙ্গে এসেছেন নিরাপত্তা স্বার্থে।
বিক্ষোভের পুরোটা সময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা নিজ অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মিরপুর অরিজিনাল ১০ এ শুরুতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে পরে তারা সরে যান।
গত শুক্রবার (২ আগষ্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন। তারা আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান করেন।