মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের দেওয়া পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় পঞ্চাশের আগেই ৪ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১.৫ ওভারে চার উইকেটে ৪২ রান। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৮২ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। প্রথম ৬ ওভারে কোনো ক্ষতি ছাড়াই ৩০ রান যোগ করেন দুজন। সপ্তম ওভারে এসে জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।
এ সময় প্রথম বলেই আউট হন তানজিদ তামিম। তিনি ১২ রান করলেও খাতা খুলতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান এ ব্যাটার। চারে নামা সাকিব ১ রানে ফিরলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
বিপর্যয় কাটাতে লড়ছেন লিটন ও মুশফিকুর রহিম। তারা যথাক্রমে ১২ ও ৫ রানে ব্যাট করছেন। ম্যাচ না জিততেও সম্মানজনক পরাজয়ের জন্য এই দুজনের বড় জুটির বিকল্প নেই।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তবে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। মাত্র ৩৬ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। রেজা হেনড্রিকস ১২ ও রাসি ফন ডার ডুসেন ১ রানে আউট হন।
ইনিংসে বাংলাদেশের আনন্দের মুহূর্ত বলতে ছিল এতটুকুই। পরের গল্পের শুরুটা এগিয়ে নেন ডি কক ও এইডেন মার্করাম। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে দুজন গড়েন ১৩১ রানের জুটি। সাকিবের বলে ফেরা মার্করাম করেন ৬০ রান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে মাত্র ৮৭ বলে ১৪২ রান যোগ করেন ডি কক ও হেনরিখ ক্লাসেন। এর মাঝে বেশ কিছু রেকর্ড গড়েন ১৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা কুইন্টন ডি কক।
১০১ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করা ডি কক দেড়শ পূরণ করতে নেন মাত্র ২৮ বল। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। ইনিংসটি খেলার পথে এরই মধ্যে চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন তিনি।
দেড়শ রান করার পথে ডি কক ভাঙেন ১৬ বছর আগের রেকর্ড। উইকেটকিপার হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি। যেভাবে এগোচ্ছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল ডাবল সেঞ্চুরিও করে ফেলবেন।
তবে ডি কককে হতাশ করেন হাসান মাহমুদ। তার বলে আউট হওয়ার আগে ১৭৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন ডি কক। অন্যপ্রান্তে ক্লাসেনও ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। হাসান মাহমুদের বলেই শেষ ওভারে ৯০ রানে আউট হন তিনি।
প্রোটিয়াদের বড় ইনিংস নিশ্চিত হয় ডেভিড মিলারের ক্যামিওতে। শেষদিকে ১৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে হাসান দুটি এবং সাকিব, মুস্তাফিজ ও মেহেদী মিরাজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।