৬৪তম জন্মদিনে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান: এনডিপি চেয়ারম্যান মোর্ত্তজা

৬৪টি তে পা রাখলেন এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা শুভেচ্ছা গ্রহণ না করে সজাগ থাকার আহ্বান

পিবিএ মন্জুর হোসেন ঈসাঃ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার ৬৪তম জন্মদিন আজ। ১৯৫৫ সালের ১০ অক্টোবর পাবনার সুজানগর থানার মুরারিপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার পিতা প্রয়াত খোন্দকার মুর্শিদুল হোসেন এবং মাতা প্রয়াত সালেহা মুর্শিদ। গোলাম মোর্ত্তজা

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন তিনি। দেশের রাজনীতিতে তখন সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ও চিন্তাধারায় বিভক্ত হয়। জাতীয় রাজনীতিতে জন্ম হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মহসিন হল শাখা জাসদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে পাঁচবার কারাবরণ করেন তিনি।

’৮০ দশকে মীর্জা সুলতান রাজার নেতৃত্বে পুনর্গঠিত জাসদে সক্রিয়ভাবে জাতীয় রাজনীতি শুরু করেন মোর্ত্তজা। ১৯৮৯ সালে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হলে সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদের নেতৃত্বে এনডিপি প্রতিষ্ঠিত হয়। খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা তখন দলটির প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে আনোয়ার জাহিদ এনডিপি থেকে পদত্যাগ করলে খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত হন। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে পাবনা-০২ আসন থেকে এনডিপির পক্ষে বাঘ মার্কা প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

’৯১ পরবর্তী এনডিপির কাউন্সিলে খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৬ সালের কাউন্সিলে খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা আবারো দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার নেতৃত্বাধীন এনডিপি ২০ দলীয় জোট ছেড়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টে যোগদান করেন।

আজ বিকেলে গুলশানে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তাঁর ৬৪তম জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে গেলে তিনি এনডিপি নেতৃবৃন্দকে বলেন, সারাদেশ এখন কাঁদছে। কোন শ্রেণীর মানুষ এখন শান্তি ও স্বস্তিতে নেই। ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন ও ভোটের অধিকার না থাকার কারণে মানুষ গণতন্ত্রহীন হয়ে পড়েছে। আর এ কারণেই বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই দিনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা শহীদ নজির উদ্দিন জেহাদকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই কারণে জন্মদিনের শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে পারছি না। দেশ যদি ভাল স্বস্তিতে থাকে তাহলে শুভেচ্ছা গ্রহণ করবো।

এসময় এনডিপির মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রিন্স, নাজমুন নাহার মিনতি, ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, শাহজাদী আয়েশা সিদ্দিকী, যুগ্ম মহাসচিব হায়াত মাহমুদ, পারভেজ হোসেন বাবুসহ এনডিপি কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...