৬ আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

পিবিএ, ঢাকা– একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৭৮৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আর নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ২ হাজার ২৭৯ জন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গতকাল রোববার (০২ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এই তথ্য পাঠিয়েছেন।

তবে, ৬ আসনে বিএনপি সকল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

বাতিল হওয়া আসনগুলো হলো বগুড়া–৭, ঢাকা-১, শরীয়তপুর–১, মানিকগঞ্জ-২, রংপুর-৫, জামালপুর-৪ আসন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁর বিকল্প হিসেবে প্রার্থী ছিলেন গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে দুইজনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়।

ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার আবু আশফাক এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাংসদ ফাহিমা হোসাইন জুবলীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঢাকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে আশফাকের পদত্যাগের নথি নির্বাচন কমিশনে না পৌঁছানোয় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। স্বাক্ষর-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফাহিমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

শরীয়তপুর–১ আসনে বিএনপির প্রার্থী সরদার নাসির উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায়। ১৯৮৮ সাল হতে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় বাছাইকালে তাঁর মনোনয়পত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু তাহের। ওই সময় কালে নাসির উদ্দিনের কাছে ৩ হাজার ৮১৫ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের তিন ইউনিয়ন) আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর গরমিল হওয়ায়।

এ আসনে বিএনপির আরেক প্রার্থী সিঙ্গাইর উপজেলা চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান খান। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান আলম ফকির এবং জেলা বিএনপির সদস্য মমতাজ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে নথিতে ত্রুটি থাকায়।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল কবির তালুকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায়। এই আসনে বিএনপি বিকল্প কোনো প্রার্থী দেয়নি।

পিবিএ/এমটি/এইচএইচ

আরও পড়ুন...