পিবিএ: আবহাওয়া আধিদপ্তর বলেছে,তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে দিন দুয়েকের মধ্যেই। তবে শীতের তীব্রতা কমতে না কমতেই নামতে পারে বৃষ্টি।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, পরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝে দু’দিনের গ্যাপ দিয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিমের কয়েকটি এলাকার উপর দিয়ে আবারও মৃদু শৈত প্রবাহ শুরু হয়েছে। সেসব এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে থাকলেও ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে। রাজধানী নয়, শৈত্যপ্রবাহ উত্তরের জেলাগুলোতে হলেও শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে। ময়মনসিংহের জেলাগুলোতেও একই অবস্থা। কেননা, এসব জেলায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের বেশি উপস্থিতির কারণে কুয়াশা পড়ছে বেশি। আবার বাতাসের গতিবেগও রয়েছে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। যে কারণে ঠাণ্ডা কমছে না।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য এখনো কম থাকায় সারাদেশেই ঠাণ্ডা অনুভূতি বেশি, রয়েছে আগের মতোই। এটা দু’ এক দিনের মধ্যে কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন (সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত) অনুযায়ী, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, তেঁতুলিয়া ও চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা কমতে পারে। সারাদেশে দিনে এবং রাতে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে।
পরের ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এসময় শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পিবিএ/জেআই