৭ ধরনের অ্যালার্জি থেকে সাবধান

পিবিএ ডেস্কঃ গত কয়েক বছরে ভারতের পাশপাশি সারা বিশ্বেই অ্যালার্জির প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পয়েছে। তবে নানাবিধ অ্যালার্জির মধ্যে এই প্রবন্ধে আলোচিত ৭ ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্তের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে এক্ষনি জেনে নিন কী কী কারণে হতে পারে এই ধরনের অ্যালার্জিগুলি। কারণ প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলে কে বলতে পারে হয়তো এই রোগের পরের শিকার আপনিই। ঠিক সময়ে অ্যালার্জির চিকিৎসা শুরু না করলে লক্ষণ বাড়তেই থাকে। এক সময় গিয়ে পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠে যে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা ছাড়া অন্য কোনও উপায়ই থাকে না। অ্যালার্জি কী? এটি হল এমন একটি অবস্থা যখন রোগীর শরীরের ইমিউন সিস্টেম কিছু উপাদানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে। আর যে মুহূর্তে সেই উপাদানগুলি শরীরে প্রবেশ করে, অমনি শরীরে নানা বিক্রিয়া হতে শুরু করে। কার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কোন উপাদানকে গ্রহণ করতে চাইবে না, তা আগে থেকে বোঝা বেজায় কঠিন। আর সবাই যে একই কারণে অ্যালার্জির শিকার হবেন, এমনও নয়। তাই তো কারও ডিম খেলে অ্যালির্জি হয়, তো কারণও চিংড়ি মাছ খেলে। আবার অনেকের ধুলো, বিশেষ কিছু ওষুধ এমনকী পোষ্যের লোম থেকেও এমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রসঙ্গত, এই প্রবন্ধে যে যে অ্যালার্জির প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলিতেই আজকাল সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই কী কী কারণ থেকে এইসব অ্যালার্জিগুলি হতে পারে, সে সম্পর্তে জ্ঞান থাকা একান্ত প্রয়োজন।

নিকেল অ্যালার্জিঃ নিকেল হল এক ধরনের মেটাল, যা দিয়ে দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন অনেক কিছু তৈরি হয়। যেমন, মোবাইল, বাসন পত্র, নন স্টিক বাসন পত্র প্রভৃতি। এই উপাদানটির থেকে অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা খুব বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণত সারা গায়ে চুলকানি এবং জ্বাল হওয়ার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে।

মৌসুমি এলার্জিঃ গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণে আবহাওয়া এতটাই দ্রুত গতিতে বদলাতে শুরু করেছে যে আমাদের শরীর অনেক সময়ই এই পরিবর্তন মেনে নিতে সক্ষম হচ্ছে না। তাই তো কারও কারও সিজিন চেঞ্জের সময় মারাত্মক অ্যালার্জি হচ্ছে। আর একথা তো সকলেরই জানা, যত দিন যাচ্ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রকোপ বাড়ছে। তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়াটা জরুরি।

পয়েজন ইভি অ্যালার্জিঃ পয়েজন ইভি হল এক ধরনের গাছ, যা আজকাল যেখানে সেখানে জন্ম নিচ্ছে। আর এই গাছ থেকে কোনও এক আজানা কারণে অ্যালার্জির প্রকোপও বৃদ্ধি পয়েছে। যে মুহূর্তে কেউ এই গাছটির সংস্পর্শে আসছে, অমনি সারা গা চুলকাতে শুরু করছে। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে প্রচন্ড জ্বালা। তবে সবারই যে এমন অ্যালার্জি হবে, তা নয়। যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই গাছের থেকে নির্গত উপাদানগুলিকে বর্জন করবে, কেবলমাত্র তাদের পয়েজন ইবি অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

অ্যান্টিবায়োটিক অ্যালার্জিঃ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে উপস্থিত পেনিসিলিন এবং অ্যানোক্সিলিন নামে একটি উপাদান থেকে আজকাল অনেকেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে সারা গায়ে চাকা চাক লাল দাগ এবং জ্বর হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

মাছের থেকে অ্যালার্জিঃ প্রতিনিয়ত নানা ক্ষতিকর উপাদান সমুদ্র এবং নদীতে গিয়ে মিশছে। যার সরাসরি প্রভাব পরছে মাছের উপর। এই সব দূষিত মাছেদের কারণে অনেকরই অ্যালার্জি হচ্ছে। এই ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে সারা শরীরে চুলকানি এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।

ধুলো থেকে অ্যালার্জিঃ এই ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্তের সংখ্যা মনে হয় সব থেকে বেশি। আসলে পরিবেশ দূষনের সঙ্গে এই অ্যালার্জির একটি সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো পরিবেশ দূষণ যত বাড়ছে, তত বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্তের সংখ্য়া। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে শ্বাস কষ্ট হওয়া ছাড়া আর তেমন কোনও লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে না।

এ সি অ্যালার্জিঃ একদম ঠিক শুনেছেন। আজকাল অনেকই এসি-এর কারণে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষত যারা দিনের বেশিরভাগ সময়ই এসি ঘরের মধ্যে কাটান, তাদের এমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে। এই ধরনের অ্যালার্জি হলে সাধারণত ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং শ্বাস কষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়।ে

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...