মো: শাহীনুর রহমান,পিবিএ পাবনা: অন্য ব্যক্তির সনদ ও বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দেয়া আলোচিত সেই ভুয়া চিকিৎসক মাসুদকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে তার নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত ভুয়া চিকিৎসকের আসল নাম মাসুদ রানা। পিতার নাম আব্দুল হান্নান। বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা পাড়া গ্রামে। তিনি ঢাকার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মাসুদ করিমের নাম, সনদ ও নিবন্ধন নম্বর নকল করেছিলেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, সৈয়দপুর পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করে পাবনার পুলিশ। আটকের পর তাকে সৈয়দপুর থেকে পাবনায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত: আটক ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ রানা দীর্ঘ ৭ বছর ধরে পাবনার ভাঙ্গুড়া হেলথ কেয়ার নামের একটি ক্লিনিকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে কর্মরত থেকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএর পাবনা শাখার আজীবন সদস্যও ছিলেন। ঢাকার ডা. মাসুদ করিমের নাম, বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর ও সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন মাসুদ রানা। বন্ধু চিকিৎসকের মাধ্যমে ভুয়া চিকিৎসকের বিষয়টি জানতে পেরে পাবনায় আসেন প্রকৃত চিকিৎসক ডা. মাসুদ করিম তার। আর তার আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে গা ঢাকা দেন ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ রানা।
ডা. মাসুদ করিম গণমাধ্যম ও পুলিশকে জানান, তিনি ১৯৯০-৯১ সেশনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এমবিবিএস শেষ করে নিবন্ধন পান বিএমডিসির, যার নিবন্ধন নং ৩৩৩৬০। বর্তমানে ঢাকার খিলগাঁওয়ে নিজস্ব ডক্টরস চেম্বারে প্রাইভেট চিকিৎসা দেন। স্থায়ী ঠিকানা ফেনীর সোনাগাজী। বাবার নাম আব্দুস শাকুর। পরে তিনি বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখায় এবং পাবনা সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের মাধ্যমে নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ রানাকে আটক করে পাবনার পুলিশ।
পিবিএ/এসআর/জেডআই