৫ আগস্ট এর পরে যে কয়টি থানা সবচেয়ে ভালো কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম মিরপুর মডেল থানা। এবার ৯৯৯ এ-ফোনকল পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করল ২টি ধারালো ছুরি,০৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ- ১০০০ টাকা।
এছাড়া চাঁদাবাজ মোঃ নাজমুল হাসান (৩১) ও মোঃবিল্লাল প্রধানকে হাতেনাতে গ্রেফতার।মিরপুর মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (নি:) (তদন্ত) মো: সাজ্জাদ রোমন এ তথ্য জানান
মিরপুর মডেল থানার এসআই(নিঃ) মোঃ মাহামুদুন্নবী,এএসআই(নিঃ) মোঃ মমিনুর রহমান, কনস্টেবল/১৪৬২৫ মোঃ নোমানসহ গতকাল ২৭ জানুয়ারি এ্যপোলো-৭১ ডিউটি করাকালে ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পান যে, ভিকটিম আলমগীর হোসেনের কাছে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। যারা চাঁদাবাজি করছেন তারা হলো মোঃ নাজমুল হাসান ও মোঃবিল্লাল প্রধান (৩৫)।
চাঁদাবাজ চক্র বাসা নং-৯/২/১, ফ্যাট নং-২/বি, এর ২য় তলায় (মুন্সিবাড়ী)তে ডেকে নিয়ে চাইনিজ কুড়ালা, ধারালো ছুরি, ও চাকুর ভয় দেখিয়া প্রাণনাশের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করে। আসামীরা এলোপাতারীভাবে ও চড় থাপ্পর মারিয়া ভিকটিমের ম্যানিব্যাগে রক্ষিত নগদ ১১,০০০/- (এগার হাজার) টাকা ও ১টি ভিবো মডেলের মোবাইল ফোন, মুল্য ১৮,০০০/- (আঠার হাজার) টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়
পরবর্তীতে মিরপুর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতে আসামীদের গ্রেফতার করে। তাহাদের হেফাজত হইতে ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি ধারালো ছুরি, ১টি ষ্টিলের ধারালো ছুরি, ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মিরপুর মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (নি:) (তদন্ত) মো: সাজ্জাদ রোমন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে মিরপুর মডেল থানার মামলা নং-৫০ তারিখ-২৭/০১/২৫ধারা১৪৩/৩৪২/৩৮৫/৩৮৬/৩২৩/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ পূর্বক ০৭ (সাত) দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে ।