গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে যথাসময়ে নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। যে দল জনগণের ভোট পাবে তারাই সরকার গঠন করবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ভাল করেই জানে যে- খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা আর কোনোদিন জনগণের ভোট পাবে না। এ কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে তারা। আসলে বিএনপি চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।

সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার এত দুর্বল নয় যে- কারো হুমকিতেই পতন ঘটবে। আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে, জনগণই আমাদের শক্তি।

বিএনপির নির্বাচনকালীন তত্ত্ববাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একবার খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন, পাগল বা শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। কিন্তু বিএনপি তো এখনো তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের দাবি করছে। তাহলে তারা কি পাগল নাকি শিশু?

সরকার প্রধান বলেন, বিএনপি এখন নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, নোংরা কৌশল অবলম্বন করছে। যারা দিবালোকে মানুষ হত্যা করেছে, লুটপাট-দুর্নীতি করেছে, দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়েছে তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা আমাদের আন্দোলনের ফসল। এ জন্য আমার দলের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগেই দেশে নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক ধারা বইছে। আজ দেশ উন্নত হয়েছে, বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ যে মর্যাদা পেয়েছে তা নিয়েই এগিয়ে যাবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।

বাংলাদেশের যেকোনো সংকটে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখে। অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠান। এতে দেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশি এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন...