পিবিএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম কেন্দ্রিয় কারাগারে আটক যুবলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মহুরী মারা গেছেন। বুধবার রাতে কারাগারের সেলের মধ্যে দুই কয়দির মারামারিতে ইটের আঘাতে গুরুত্বর আহত হয় সন্ত্রাসী আমিত মুহুরী। রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউ সার্জারী বিভাগে ভর্তি করলে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শুনেছি কারাগারে মারামারি করে শীর্ষ সন্ত্রাসী আমিত মুহুরী মারা গেছে। তবে আমাদেরকে কারাকর্তৃপক্ষ এখনো লিখিতভাবে জানায় নি।
তিনি বলেন, নগরীর এনায়েত বাজার রানীর দিঘীতে ড্রামভর্তি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের মামলায় কারাগারে ছিলেন অমিত মূহুরী। তার নামে অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালি থানার এনায়েত বাজার রানীর দিঘী থেকে সিমেন্ট ঢালাই করা ড্রামের ভেতর থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়। নিহত যুবক রাউজান পৌর সভার রেজাউল করীমের পুত্র ইমরানুল করিম ইমন (২৬)।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩০ আগষ্ট শফিক ও শিশির নামে দুই জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইমন খুনের রহস্য বেরিয়ে আসে। তারা পুলিশকে জানায়, নিজের স্ত্রীর চৈতীর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এ সন্দেহ থেকে গত ৮ আগস্ট রাতে বাল্যবন্ধু ইমনকে নগরীর নন্দনকাননস্থ নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে যায় যুবলীগ কর্মী অমিত মহুরী। সেখানে রাতভর নির্যাতনের পর ভোরে দিকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে লাশ ড্রামে ঢুকিয়ে রাখে। ৩দিন লাশটি বাথরুমে রেখে ১২ আগষ্ট গভীর রাতে পার্শ্ববর্তি রানীর দিঘিতে ড্রামভর্তি লাশ ফেলে দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর অমিত মুহুরী পালিয়ে যায়। ২ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লার একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পালিয়ে থাকা অমিত মুহুরীকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তখন থেকে কারাগারে আটক ছিল ভয়ন্কর সন্ত্রাসী অমিত মূহুরী।
সিএমপির কোতোয়ালী থানার তৎকালিন ওসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, অমিত মুহুরী নগরীর ভয়ঙ্কর খুনিদের একজন। তার নামে রেলওয়ে টেন্ডারকে কেন্দ্র করে ২০০৩ সাথে সিআরবির জোড়াখুনসহ অন্তত একডজন মামলা রয়েছে।
পিবিএ/জেডআই