আবার হাসপাতালে বৃক্ষমানব, কেটে ফেলতে চান দুই হাত

বৃক্ষমানব
বহুল আলোচিত বৃক্ষমানব আবুল বাজানদার

পিবিএ, ঢাকা: ‘ডাক্তাররা বলেছেন পৃথিবীর কোথাও নাকি এই রোগের চিকিৎসা নেই। যতবার শেকড়-বাকড় বাড়বে ততবার অপারেশন করে ফালাতে হবে। যতদিন বাঁচব, ততদিনই এভাবে অপারেশন করতে হবে। খুব কষ্ট হয় ভাই, খুব কষ্ট। এভাবে আর কতো দিন বাঁচবো!’

এই আহাজারি বহুল আলোচিত বৃক্ষমানব আবুল বাজনদারের। তার দুই হাত ও শরীর আবার গাছের আকৃতি ধারণ করেছে। ঢাকা মেডিকেল হাসপতালে এর আগে অপারেশন করা হয়েছিলো। কিছুদিন সুস্থ থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।

হাতে পায়ে শেকড়ের মত মাংসপিন্ড গজানোর কারণে কারো কাছে তিনি ‘বৃক্ষমানব’, আবার কারো কাছে তিনি ট্রি ম্যান হিসেবে পরিচিতি পান।

আবুল বাজানদার বলেন, ‘আগের মতো হাতে শেকড়-বাকড় লম্বা হচ্ছে। খুব জ্বালা যন্ত্রণা করে। সহ্য করতে পারি না ভাই। এজন্য গত ১৯ মে আবারো বার্ণ ইউনিটে এসে ভর্তি হই। গতকাল (রোববার) ডাক্তারকে বলছি, আমার হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে দেন। পায়ে অপারেশন করতে বলছি যাতে এলাকায় গিয়ে একটু হাঁটতে পারি। কিন্তু ডাক্তাররা তো রাজি হচ্ছেন না। আমি বলছি যে যদি এটাও না করেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমাকে যাতে বিদেশে পাঠানো হয়।’

উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছিলেন বাজানদার। চিকিৎসকেরা ২৫ বার অস্ত্রোপচার করেছিলেন তার হাতে। তখন অনেকটা সুস্থ্য হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন সুস্থ্য সুন্দর স্বাভাবিক জীবন গড়ার। কিন্তু দূরারোগ্য রোগ যেন তার পিছু ছাড়ছে না। আবারো গজানো শুরু করেছে সেই শেকড়। বাজনদার তাই এখন তার হাতই দুটোই কেটে ফেলতে চাচ্ছেন।

হাসপাতালে আসার পর তিনটা টেস্ট করানো হয়েছে আবুল বাজনদারের। তার সঙ্গে রয়েছেন তার বাবা-মা।

তিনি বলেন, আমি সামন্ত স্যারের কাছে গিয়েছিলাম। স্যার বলেছেন, কালকে মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। সেখানে যদি হাত কাটার সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তারা হাত কেটে ফেলবে। আর যদি অন্য সিদ্ধান্ত হয়, সে ভাবেই আমার চিকিৎসা চলবে।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...