অবসান হল শবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

পিবিএ,ডেস্ক: পুলিশি প্রহরায় মন্দিরে প্রবেশ করে অবশেষে ইতিহাস তৈরি করলেন বিন্দু এবং কনকদুর্গা নামে দুই নারী। এরমধ্যে দিয়ে অবসান হল ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার।শবরীমালা মন্দির নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের রায় চার মাস কেটে যাওয়ার পরও ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কোনো নারী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি।

ভারতীয় এক পত্রিকার বরাত দিয়ে যানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্দিরে ঢোকার জন্য শবরীমালা পাহাড়ের পেম্বা বেস থেকে যাত্রা শুরু করেন নামে ওই দুই নারী। তাঁদের দু’জনেরই বয়স ৪০-এর কাছাকাছি বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সাথে ছোট্ট একটি পুলিশের দলও ছিলো সেসময়। ভোর পৌনে ৪টার দিকে মন্দিরে পৌঁছান দুইজন। কালো কাপড় পরে তাঁরা মন্দিরে ঢুকে আয়াপ্পা স্বামীর কাছে প্রার্থনা সেরে বিনা বাধায় নীচে নেমে আসেন তারা।

প্রসঙ্গত, প্রাচীন কাল থেকেই শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছরের অর্থাৎ ঋতুকালীন বয়সের নারীরা প্রবেশ করতে পারতেন না। এমনকি, মন্দিরে ঢোকার সময় বয়সের প্রমাণপত্রও দেখাতে হত মন্দির কর্তৃপক্ষকে। এই প্রথাটির বিরুদ্ধে ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলেন, ধর্মাচরণে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করা যায় না। এসময় সব বয়সের নারীদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তার পর থেকে বহু নারী মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দিচ্ছিল একাধিক সংগঠন।এমনকি মঙ্গলবার দুই নারী প্রবেশের প্রসঙ্গে রাহুল ঈশ্বর নামে ‘আয়াপ্পা ধর্ম সেনা’ সংগঠনের এক সদস্য বলেন, ‘‘দুই নারী মন্দিরে প্রবেশের বিষয়টি আমি মনে করি না সত্যি। বিষয়টি সত্যতা জানতে পারলে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’ তবে পুলিশের দাবি, সাত সকালেই মন্দিরে ঢুকে আয়াপ্পা স্বামীর মন্দিরে প্রার্থনা করে নির্বিঘ্নে ফিরেও এসেছেন তাঁরা।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...