পিবিএ,ডেস্ক: একিউট করোনারী সিনড্রোমের কারণে বুকে ব্যথা হয়। এই ব্যাথা খুবই তীব্র এবং কষ্টদায়ক। এ ব্যথা শুধু বুকেই থাকে না। শরীরের বিভন্ন স্থানে যেমন, ঘাড়ে এবং বাম বাহুতেও ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগের উপসর্গ গুলাের মধ্যে আছে, রোগী চেহারা হয়ে যায় ফ্যাকাশে এবং ঘামতে থাকে, বমি ভাব, বমিও হয়। শ্বাসকষ্টও হতে পারে। করোনারী ধমনী বন্ধ হয়ে গেলে হয় একিউট করোনারী সিনড্রোম। এ ধমনী হার্টে রক্ত সরবররাহ করে।
ধমনীর গায়ে চর্বি জমে। এ চর্বি জমাকে বলে ত্রথেরোসক্লেরোসিস। একিউট করোনারী সিনড্রোমে এলার্জির কারণে মাস্ট সেল থেকে বিভিন্ন উপাদান বের হয়ে আসে। এসব উপাদানের মধ্যে আছে হিস্টামিন, প্রোটিয়েজ ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদানগুলো করোনারী ধমনীকে সংকুচিত করতে পারে। এছাড়া ধমনীর প্রাচীরে ক্ষত সৃস্টি করার কারণে, প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকা সেখানে এসে জমা হয় এবং বন্ধ হয়ে যায় রক্তনালী। তাই দেখা দেয় একিউট করোনারী সিনড্রোম।কৌনিস সিনড্রোমে একিউট করোনারী সিনড্রোম হয় এলার্জির কারণে।
কৌনিস সিনড্রোম তিন ধরনের। টাইপ ওয়ান, টু এবং থ্রি। এক এক সিনড্রোমের চিকিৎসা এক এক রকম। কৌনিস সিনড্রোমের কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
চিকিৎসা:
একিউট করোনারী সিনড্রোমের ব্যথা কমানোর জন্য ওপিওয়েড জাতিয় ঔষুধ দেয়া হয়। কিন্তু কৌনিস সিনড্রোমে এটি দিলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। ওপিওয়েড দিলে মাস্ট সেল থেকে বিভিন্ন উপাদান বেরিয়ে আসবে। একিউট করোনারী সিনড্রোমে বিটা ব্লকার দেয়া হয়। বিটা ব্লকার খুব গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা। কিন্তু কৌনিস সিনড্রোমে বিটা ব্লকার দেয়া যাবে না। মারাত্তক পরিণতি হতে পারে।কৌনিস সিনড্রোমে হার্টের চিকিৎসার পাশাপাশি এলার্জির ও চিকিৎসাও করতে হবে। এলার্জির চিকিৎসায় স্টেরয়েড, এন্টি হিস্টামিন এবং নেডোক্রোমিল ব্যবহার করা হয়। এপিনেফ্রিনের ব্যাবহার ও করা লাগতে পারে কোন কোন ক্ষেত্রে।
অসুখটি প্রথম বর্ণনা দেন গ্রীসের একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নিকোলাস কৌনিস। আমাদের দেশে একিউট করোনারী সিনড্রোমের রোগী খুবই সীমিত।
পিবিএ/আরএইচ