পিবিএ ডেস্ক: একের পর এক ভয়াবহ ঘটনায় বিভৎস রূপ ধারণ করছে বিজেপি শাষিত পুরো উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি। পরিবারের একজনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় কিন্তু বাধা পেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় ওই পরিবারের দুইজন মহিলাকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হলো। আর এই নিয়ে পুরো দেশ জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি মহিলাদের নূন্যতম নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। দুই দলিত মহিলার মৃত্যু ছাড়াও গুরুতর আহত আরও দুজন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে।
গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন ওই দুই প্রবীণ দলিত মহিলা। হঠাৎই একটি গাড়ি পিছন থেকে খুব জোরে এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। তাঁরা রাস্তায় পড়ে গেলে, গাড়িটি দু’জনকে পিষে দিয়ে চলে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে অনুযায়ী, কিছু দিন আগে ওই দুই প্রবীণ দলিত মহিলার পরিবারের ২২ বছরের এক যুবতীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল এলাকারই এক উচ্চ বর্ণের যুবক। কিন্তু তাতে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সেই মুহূর্তে ফিরে যায় যুবকটি। তার পর থেকেই ওই দলিত পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এমনকী, দুই প্রবীণ মহিলাকে পিষে মারার সামান্য আগেও যুবতীকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিল উচ্চবর্ণের ওই যুবক।
অর্থাৎ, অবস্থাটা যেন অনেকটা এমন, দলিত পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণ করাটা হচ্ছে উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের অধিকার, তার ব্যাত্যয় ঘটতে পারবে না, ব্যাত্যয় ঘটলে তাদেরকে পিষে মারাটাও তাদের একান্ত মর্জির ব্যাপার। কারণ তারা উচ্চবর্ণের।আর দলিত ও সংখ্যালঘুদের কোন অধিকার থাকতে নেই, কারণ তারা নিম্ন বর্ণের।
পিবিএ/এএইচ