গরমে পুড়ছে ইউরোপ

পিবিএ ডেস্ক: অসহনীয় গরমে পুড়ছে পুরো ইউরোপ। বিশেষ করে উত্তর ইউরোপের জার্মানি, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

জার্মান আবহাওয়া বিভাগ বলছে, বুধবার দেশটিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে, যা হবে ১৯৪৭ সালের পর দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সে বছর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশটির নর্দান ভেস্টফালেন প্রদেশের কিছু স্কুলে গরমের কারণে ছুটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত সোমবার থেকেই এই উচ্চ তাপমাত্রা শুরু হয়। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জার্মানির অধিকাংশ বসতবাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা এবং ফ্যান না থাকায় অনেকেই এখন ফ্যান কিনতে বাধ্য হয়েছেন। খুব প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বুধবার বাইরে তেমন বের হয়নি।

জার্মানির প্রকৃতিবাদী সংগঠনগুলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ বিষয়টিকে পরিবেশের বিপর্যয় হিসেবেই দেখছেন এবং তেল, গ্যাস ও খনিজ কয়লা পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন।

এদিকে ফ্রান্সের আবহাওয়া বিভাগের পূর্ভাবাস অনুযায়ী, দেশটির কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠতে পারে৷ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ৷ তিনি বলেন, ”এটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত যে জুন মাসেই তাপমাত্রা এত বাড়ছে৷ ১৯৪৭ সালের পর থেকে এমন অবস্থা আর দেখিনি৷‘‘ এ অবস্থায় সকলকে বিশেষ করে অসুস্থদের, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি৷

বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রীষ্মকালে ইউরোপে তামপমাত্রার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে৷ তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ বিষয়টিকে পরিবেশের বিপর্যয় হিসেবেই দেখছেন তাঁরা৷ জার্মানির পটসডাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট ইম্প্যাক্ট রিসার্চের গবেষক স্টেফান রামস্টোর্ফ জানান, তেল, গ্যাস ও খনিজ কয়লা পোড়ানোর ফলে বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমান বাড়ছে , ফলে বাড়ছেবৈশ্বিক তাপমাত্রা৷

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...