বরিশালে মাদ্রাসা ছাত্রীর অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে ধর্ষকের মা গ্রেফতার

পিবিএ, গৌরনদী ,বরিশাল: বরিশালের গৌরনদীতে মোঃ সাব্বির হোসেন ফকির (১৯) নামের এক বখাটে কর্তৃক তাদের প্রতিবেশী দাখিল পরীক্ষার্থী এক কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রী (১৫)কে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ফলে গর্ভবতি হয়ে পড়া ওই কিশোরীর অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বখাটে সাব্বির হোসেনের মা সরুফা বেগম (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে।

রাজধানীতে ৩০ লাখ জাল টাকাসহ গ্রেফতার ৭ধর্ষিতার বাবার অভিযোগ, মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম শাওড়া গ্রামের মোঃ মনির ফকিরের ছেলে বখাটে সাব্বির তাদের প্রতিবেশী ওই কিশোরী (১৫)কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এ বছরের ২জানুয়ারী বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে প্রথম বার ধর্ষণ করে। এর পর একই প্রলোভনে ফেলে সে ওই কিশোরীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ করেছে। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতি হয়ে পড়লে সে তার বাবা, মা ও দাদিকে ঘটনা জানায়। তারা তখন বখাটে সাব্বিরের বাবা মোঃ মনির ফকির ও মা সরুফা বেগমকে এ ঘটনা জানিয়ে এর প্রতিকার চান। এর পর বখাটে সাব্বিরের মা সরুফা বেগম গৌরনদী নার্সিং হোমের মালিক সোহেদা বেগমকে নিয়ে কিশোরীর দাদি ও বাবার কাছে ধর্ষিতাকে সাব্বিরের বৌ করে ঘরে তোলার আশ্বাস দিয়ে গোপনে তার গর্ভপাত ঘটানোর প্রস্তাব দেন। কিশোরীর দাদি ও বাবা ওই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে সাব্বির তার মা সরুফা বেগম ও গৌরনদী নার্সিং হোমের মালিক সোহেদা বেগম মিলে গত ২৩ জুন সকাল ১০টার দিকে কিশোরীকে ফুসলিয়ে গৌরনদী নার্সিং হোমে নিয়ে এসে তার অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়।

এ ঘটনার পর বাড়ি ফিরে কিশোরী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সে তার বাবা ও দাদিকে অবৈধ গর্ভপাতের ঘটনা খুলে বলে। সব জানার পর কিশোরীর বাবা এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সহয়তায় কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য ধর্ষক ও তার বাবা, মা’র কছে প্রস্তাব দেন। তারা ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে ধর্ষক মোঃ সাব্বির হোসেন (১৯), গৌরনদী নার্সিং হোমের মালিক সোহেদা বেগম (৪২), ও ধর্ষকের মা সরুফা বেগম (৪৫)কে আসামী করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক বখাটে সাব্বির হোসেনের মা সরুফা বেগম (৪৫)কে গ্রেফতার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম সরোয়ার পিবিএ’কে জানান, ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় তড়িৎ ব্যাবস্থা নিয়েছে। তার পরও ধর্ষককে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে ধর্ষকসহ মামলার অপর আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়বে।

পিবিএ/কেএম/হক

আরও পড়ুন...