কংগ্রেসে গণ-ইস্তফা

পিবিএ ডেস্ক: নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছাড়তে গোঁ ধরে আছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তার দলের নেতাকর্মীরা চান রাহুলই থাকুক এই পদে। আর এ কারণেই রাহুল গান্ধীকে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে গণ-ইস্তফা দিলেন ১৩০ জন কংগ্রেস সদস্য। সেই তালিকায় রয়েছেন দলের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রীরা।

পদত্যাগকারী সদস্যদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, সেবা দল, জাতীয় কংগ্রেস এবং যুব কংগ্রেসের নেতা।
পদত্যাগ করেছেন দীপক বাবারিয়া, অনিল চৌধুরি, রাজেশ ধারমানি বিবেন্দ্রা রাঠোর এবং পবন প্রভাকরের মতো হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা। পদত্যাগ করেছেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ বিবেক তনখা।

গত ২৪ জুন কংগ্রেসের প্রায় ৩০০ জন নেতা সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির নয়াদিল্লির অফিসে জমায়েত হন। সেখানে অলিখিতভাবে বৈঠক করেন পদত্যাগে ইচ্ছুক নেতারা। সেই বৈঠকেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ১৩০ জন কংগ্রেস নেতা। যদিও কংগ্রেসের উপরমহলের নেতৃত্বের দাবি, এমন কোনও বৈঠকের বিষয়ে অবগত নয় দল।

সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস নেতাদের সিংহভাগই রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছিলেন। ইস্তফা দেওয়া নেতাদের দাবি, পদমর্যাদা পূরণ করতে না পারার অনুশোচনাতেই এই সিদ্ধান্ত। রাহুল গান্ধীর সম্মান রাখতে পদত্যাগ করলেন তারা। পদত্যাগকারী কংগ্রেস নেতা দীপক বাবারিয়া জানান, প্রতিটি কংগ্রেস নেতাকেই নির্বাচনে খারাপ ফলের দায় নিতে হবে।

এই গণ-ইস্তফার পরেই দিল্লি কংগ্রেসের নেত্রী শীলা দীক্ষিত তড়িঘড়ি ২৮০টি ব্লক কংগ্রেস কমিটি ভেঙে দেন। রাহুল গান্ধী এর পরেই দলের বেশ কয়েকজন পুরানো নেতা-কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলকে সংগঠন শক্তিশালী করতে নির্দেশ দেন তিনি।

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাকে বিরত করেন দলের প্রবীণ নেতারা। রাহুলের নেতৃত্বে কাজ করার আগ্রহপ্রকাশ করেন সকলে।

সূত্রের খবর, এখনও রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ ছাড়তে গোঁ ধরে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতি দায় নিয়ে রাহুলকেই সিংহাসনে থাকার রাস্তা পরিষ্কার করে দিলেন কংগ্রেস নেতারা, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...