নাইজেরিয়ার গভর্নরের স্ত্রী খ্রিস্টান ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন

পিবিএ ডেস্কঃ নাইজেরিয়ার ওগান রাজ্যের গভর্নর ইবিখুনলের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি ওলুফানসো আমুসোন খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন।

সিনেটর আমুসোন ২০১১ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হন।পরে একই বছরের মে মাসে রাজ্যের চতুর্থ নির্বাচিত গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। নাইজেরিয়ার ‘অ্যাকশন কংগ্রেসের’ হয়ে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ওলুফানসো বলেন, ‘প্রথম ব্যক্তি হিসেবে আমি আমার মাকে এ সিদ্ধান্ত জানাই।তাকে বলি, ‘আমি একজন মুসলিমকে বিয়ে করতে চাই’। এটা শুনে প্রথমেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তারপর তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন: এ সম্পর্কে সম্প্রতি নাইজেরিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘ভ্যানগার্ড’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকারে গভর্নর-পত্নী স্পষ্ট করেছেন কেন একজন একনিষ্ঠ খ্রিস্টান থেকেও তিনি একজন মুসলিমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ‘আমি বিষয়টি আমার বাবাকে বলেছি কিনা’ এবং আমি তাকে বললাম ‘না’ এবং এতে আমি তার মাঝে ‘দুষ্ট হাসি’ দেখতে পাই।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আজকে আমার মা এবং আমার স্বামী আমাকে তাদের ভাল বন্ধুর চেয়েও বেশি পছন্দ করেন।’ ওলুফানসো আরো বলেন, ‘যখন আমি আমার বাবাকে এ বিষয়ে বলেছিলাম, তখন তিনি বললেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, আমাদের শুধু এই সম্পর্কে প্রার্থনা করতে হবে।

কিন্তু যেকোনো ভাবেই হোক, পরে তারা আমাকে খুব আঘাত করে। আমার স্বামী আল্লাহকে বিশ্বাস করেন। আমি বলব, আমার স্বামী আমার চেয়েও বেশি ধার্মিক।’ ‘তিনি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর একজন মুমিন বান্দা।

আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাসের বলেই তিনি মনে করেন ‘সবকিছুই সম্ভব’ এবং যখন আপনি কাউকে অধিক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে দেখবেন তখন আপনাকে তার বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে এটা দেখতে হবে; আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করে নয়।

আল্লাহকে বলতে হবে, ‘আমি তোমার উপর ঈমান এনেছি’ এবং তাকে (আল্লাহ) স্পষ্ট বুঝার জন্য আপনাকে বার বার চেষ্টা করতে হবে।’ তিনি বলছিলেন। তিনি বলেন, ‘স্বামীর বিশ্বাস থেকেই আমার বিশ্বাস শুরু হয়েছে।

তার ইসলামের বিশ্বাসের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে এবং তার বিশ্বাসের প্রতি আমার বিশ্বাস স্থাপন সহজ করে দিয়েছে যে জিনিসিটি সেটি হচ্ছে আল্লাহর প্রতি একাগ্রতা। তার এই দৃঢ় একাগ্রতার কল্যাণে মহান আল্লাহ তাকে কখনো ব্যর্থ করেনি এবং আমি জানি যে,

আমার স্বামী আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুতে বিশ্বাস করে না।’ যা হোক, তার স্বামীর পক্ষ থেকে তাকে ইসলামে ধর্মান্তরের ব্যাপারে ইচ্ছাকৃত কোনো প্রয়াস ছিল না বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুসলিম রীতিতে প্রার্থনা করি কারণ আমাদের মধ্যে বন্ধনটা অত্যন্ত দৃঢ়। আমি আমার সন্তানদের যখন বলব, ‘প্রার্থনা করার সময় হয়েছে’। ওই সময় আমি যদি ভিন্ন উপায়ে প্রার্থনা করি তখন বাচ্চারা বলবে, ‘মা আপনি আমাদের সঙ্গে প্রার্থনা করেন না কেন? তাহলে বাবার প্রভু কি ভাল প্রভু নন?’

এ রাষ্ট্র ধনীদের, গরীবের স্বার্থ চিন্তা করে না : অধ্যাপক মিজানুর রহমান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, অবস্থান পরিবর্তন ঘটাতে হলে উই নিড এ নিউ বিগিনিং। নতুন একটা যাত্রা শুরু করতে হবে। সেখানে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। জবাবদিহিতা থাকতে হবে। থাকতে হবে আইনের শাসন।বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হয়ে গেছে ধনীদের। গরিবের স্বার্থের কথা এ রাষ্ট্র চিন্তা করে কিছু করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সড়ক দুঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণঃ নিরাপত্তা বীমার প্রয়োজনীয়তা, আলাদা তহবিল গঠন ও পরিকল্পনা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারে সংগঠনটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ, প্রাইম ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদী খানম, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।

মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনর ভাইস চেয়ারম্যান এম এস সিদ্দিকী।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান আরো বলেন, এ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হয়ে গেছে ধনীদের। গরিবদের স্বার্থের কথা এ রাষ্ট্র চিন্তা করে কিছু করে না। সড়ক পরিবহনের আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রেও তা দেখা গেছে।

নিজেকে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র মনে করে তাহলে তাকে জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। কারণ আমাদের আইন সভায় সব সময় ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব। তাদের স্বার্থ দেখেই আইন প্রনয়ণ করা হচ্ছে।

ব্যাংকের টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে না গেলে ঋণ খেলাপি হলেই কোনো ব্যক্তিকে খারাপ বলা যায় না এমন বক্তব্য প্রসঙ্গেও ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দেখুন আমরা কোন সমাজে আছি তা বলতে পারছি না। যারা দিবালোকে আইন অমান্য করছে তাদের উচ্চাসনে বসাতে কুন্ঠা করছি না।

তিনি বলেন, যারা জনগণের অর্থ লুন্ঠন করে তাদের সার্টিফিকেট দেয়ার দরকার নেই। অথচ একজন ভিক্ষুক থেকে জনগণ সকলেই কর দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সব জায়গায়তেই যে আইনের শাসন নেই তা-তো এ গোলটেবিল বৈঠকেই আলোচিত হয়েছে।

এ রাষ্ট্রতে এখন যে আইন মেনে চলবে না বা তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না- তাহলেইতো আমি ভিআইপি পারসনে পরিণত হতে পারবো-এমন অবস্থা চলছে। এই যে মুল্যবোধের অভাবের জায়গাগুলি এখন এড্রেস করার সময় এসেছে। তবে তিনি প্রশ্ন করে বলেন, সেখানে ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব সেখানে কি গণমুখী আইন হবে।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...