ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীকাল ৯৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

পিবিএ ডেস্কঃ ‘গুণগত শিক্ষা: প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামীকাল ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হবে।এই উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-কর্মসূচি ও উদ্যোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজনের কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এরপর জাতীয় পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা, বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ কর্তৃক উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন এবং স্বারক সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। এরই মধ্যে সেখানে মঞ্চসজ্জাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উদ্বোধনের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে(টিএসসি) যাবেন।

সকাল ১১টায় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে ‘গুণগত শিক্ষা: প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, ডাকসুর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সাঁতার প্রতিযোগিতা, টিএসসিতে সাইকেল শোভাযাত্রা ও বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাবি সাংবাদিক সমিতি ও ডাকসু’র মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে টিএসসিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে থাকবে দুর্লভ পান্ডুলিপি প্রদর্শনী ও বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী।

পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হল দিনব্যাপী নিজস্ব কর্মসূচি পালন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযানের সেতুবন্ধন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয় শত বছর উপলক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানোন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছি। শিক্ষার গুণগত মান উৎকর্ষতার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য সাবেক শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান প্রমুখ।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...