পিবিএ ডেস্ক: জুলাই মাসের ২০ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রথমবারের মতো তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে পাক সংবাদপত্রগুলো।
এর আগে জুন মাসেই ইমরানের যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বার্ষিক বাজেট থাকায় পাক প্রধানমন্ত্রীকে সেই সফর পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে খুব শীঘ্রই মুখোমুখি বসতে চলেছেন ইমরান খান। তারপরই এই খবর সাংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, এই বৈঠকের অবশ্যই আলোচনার মুখ্য বিষয় হবে সন্ত্রাসবাদ। কারণ, ট্রাম্প জমানায় এই সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতেই পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এমনকি, ভারতও মুখ খুলেছে এ নিয়ে। আফগানিস্তানের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক বজায় রাখবে পাকিস্তান, উক্ত বৈঠক থেকে সেই বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা উঠে আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ট্রাম্প-ইমরান বৈঠকের দিকে চেয়ে রয়েছে নয়াদিল্লিও। ভারতের আশা, এই বৈঠকে আলোচনার পর সে দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে পাকিস্তান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্থসাহায্য বন্ধ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স, ইংল্যান্ড-সহ অন্যান্যদের সহায়তায় ইতিমধ্যে জঙ্গি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। দীর্ঘ টালবাহানার পর সে প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে পাকিস্তানের বন্ধু চীনও।
এছাড়া গত বছরের জুন মাসেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকাভুক্ত’করেছিল এফএটিএফ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে দ্য ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। ইমরান প্রশাসন ও পাক সেনাকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এফএটিএফ-এর কড়া বার্তা, আগামী চার মাসের মধ্যে জাতিসংঘের নির্ধারিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ইসলামাবাদকে। অন্যথায় ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হবে পাকিস্তান।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন