পিবিএ ডেস্ক: ভারতের পানির জন্য চলছে হাহাকার। তীব্র পানি সংকটে ভুগছে দেশটির দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু। চেন্নাইয়ে পানির পাত্র হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো অসংখ্য মানুষের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে পানি পাচ্ছেন না। পানির এমন হাহাকারে বোতলজাত পানিও বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
সারাদেশে পানির এমন হাহাকারে উল্লেখযোগ্য এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। পরিচালক এবং প্রযোজকরা জানিয়েছেন, এখন থেকে সিনেমায় আর বৃষ্টির দৃশ্য থাকবে না। বৃষ্টির দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে তারা আর পানি নষ্ট করবেন না। এর ফলে সিনেমার আর নায়ক-নায়িকাদের বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যাবে না।
তামিল পরিচালক জি ধনঞ্জয়ন বলেছেন, ‘বৃষ্টির দৃশ্য এখন এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেশি পরিমাণে পানি অপচয় অপরাধের সমান। সাধারণ মানুষকেও আমরা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে পানির অপচয় না করা হয়। সিনেমায় একান্ত প্রয়োজনে বৃষ্টির দৃশ্যে কী করা হবে? এমন প্রশ্নে বিভিন্ন পরিচালক এবং প্রযোজকরা জানিয়েছেন, সেক্ষেত্রে যত কম সম্ভব পানি ব্যবহার করার একটা উপায় বের করা হবে।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, এমনিতেই অনেকদিন ধরে বৃষ্টির দৃশ্যে শুটিং করার জন্য দক্ষিণের পরিচালকরা হায়দরাবাদ কিংবা মুম্বাইকে বেছে নিতেন। কারণ, চেন্নাইতে শুটিং ফ্লোরে পানি সংকট অনেকদিন ধরেই চলছে। এর আগেও রজনীকান্তের বিখ্যাত ছবি ‘কালা’র একটি বৃষ্টির দৃশ্য শুটিং হয়েছিল মুম্বাইয়ে।
এদিকে ইতোমধ্যেই পানির অপচয় রোধে নানান ব্যবস্থা নিয়েছে চেন্নাইয়ের প্রশাসন। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় স্টিলের থালা-বাসনের বদলে কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। তবে নীতি আয়োগের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আগামী বছরের মধ্যে ভারতের ২১টি বড় শহরে দেখা দেবে চরম পানি সংকট।
পিবিএ/বিএইচ