পিবিএ,আখাউড়া ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: যে বয়সে ঘরে বসে আরাম আয়েশে জীবন পার করার কথা কিন্তু সেই বয়সে জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটে চলতে হচ্ছে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে।
পরিবারের একমাত্র অবলম্বন হওয়ায় প্রতিদিন সকাল থেকেই বাঁশ দিয়ে তৈরী করা কুলা, চালুন হাতে নিয়ে ছুটে চলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামের মো. সুলাইমান মিয়া (৮৫) কে।
বর্তমানে তিনি বয়সের ভারে ভারি হওয়ায় ঠিক মতো হাঁটতে পারছেন না। চোখেও অনেটা ঝাপসা দেখছেন। তবুও তিনি থেমে থাকেননি।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দু’বেলা দ’ুমোঠো খাবার জোগাড় করতে নিত্যদিন বের হয়ে পড়ছেন তাকে কুলা,চালুন বিক্রিতে। তার সংসারে স্ত্রী ছাড়া সহযোগিতা করার মতো কেউ না থাকায় তাকেই বাঁশ কেনা, কুলা চালুন তৈরী এর পর গ্রামে গ্রামে ঘুরে ওইসব বিক্রি সবই তিনি করছেন। খেঁটে যেতে হচ্ছে দিনের পর দিন।
সুলাইমান মিয়া পিবিএকে বলেন ,তিনি এক সময় কৃষি কাজ করতেন। কৃষি উপকরনের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারনে কৃষি কাজ ছেড়ে বাঁশ বেত দিয়ে কুলা, চালুন তৈরী করে বিক্রি করছেন।
গত ২০ বছর ধরে নিজের সামান্য পুঁজিকে সম্বল করে তিনি এ পেশার সাথে জড়িত বলে জানায়। দিন দিন বয়স বাড়ছে। এখন আর আগের মতো হাটা চলা ও কাজ করতে পাড়ছেন না। যতক্ষন হাটা যায় ততক্ষন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ওইসব তৈরী করা বাঁশের জিনিস বিক্রি করছেন। তার এই কাজে সার্বিক ভাবে সহযোগিত করছেন স্ত্রীও।
তিনি আরও বলেন একটি বাঁশ দিয়ে ৪-৫টি কুলা তৈরী করা যায়। প্রতিটি কুলা ১৩০-১৫০ টাকায় দৈনিক ৫-৬টি কুলা বিক্রি করা যায়। বিক্রিতে যা আয় হয় তা দিয়েই চলছে সংসার। তবে ইরি -বোরো মৌসুমে এলাকায় কুলার ভাল চাহিদা থাকে বলে জানায়। আমি কারোর বোঝা বা হাত পেতে বাঁচতে চাইনা। পরিশ্রম করে বেঁচে থাকতে চান।
পিবিএ/এমআই/হক