আজ শফি বিক্রমপুরীর ৭৭তম জন্মদিন

পিবিএ ডেস্ক: আজ খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ও রাজনীতিবিদ শফি বিক্রমপুরীর ৭৭তম জন্মদিন । ১৯৪৩ সালের ৪ঠা জুলাই বাংলা ১৩৫০ সনের ২০শে আষাঢ় মুন্সীগঞ্জ জেলার (সাবেক বিক্রমপুর পরগণা) শ্রীনগর থানার মত্তগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সাল থেকে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে দক্ষিণাঞ্চলের লোকজ প্রেমকাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘গুনাই বিবি’ ছবিটি যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে তিনি প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সে সময় হলিউডের বিখ্যাত ইংরেজি ছবি ‘এঞ্জেলিক’ এবং ‘ফান্টুমাস’ ছবি দু’টি পরিবেশনাও করেন। ১৯৭২ সালে খ্যাতিমান পরিচালক সুভাষ দত্ত পরিচালিত মুক্তযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ এবং শহিদুল হক খান পরিচালিত ‘কলমি লতা’ ছবি দু’টি যৌথভাবে প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেন। ১৯৭৮ সালে সম্পূর্ণ রঙিন ছবি ‘রাজদুলারী’র মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে
তার অভিষেক ঘটে। ১৯৮৯ সালে ঢাকার মালিবাগে ‘পদ্মা’ এবং ‘সুরমা’ নামে দু’টি সিনেমা হল নির্মাণ করে প্রদর্শক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

তিনি ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের সিনেমা হল মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সরবোর্ডের সদস্য ছিলেন। উল্লেখ্য, তার প্রযোজনায় নির্মিত ফোক ফ্যান্টাসি জাদুর ছবি ‘ডাকু মনসুর’, ‘বাহাদুর’ ও ‘রাজদুলারী’ পরপর সুপারহিট হওয়ায় চলচ্চিত্রাঙ্গনে চমক সৃষ্টি হয়। এরপর তিনি ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সবুজ সাথী’, ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘মাটির কোলে’, ‘শশীপুন্নু’, ‘শান্তি-অশান্তি’, ‘জজসাহেব’, ‘দেনমোহর’, ‘অবুঝ মনের ভালোবাসা’সহ অনেক জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন। তিনি অনেক জনপ্রিয় শিল্পী কলা-কুশলীকে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন। ঢাকার স্মৃতিকথা নিয়ে ‘ঢাকায় ৫০ বছর’ নামে একটি বই লিখেছেন তিনি। বইটি ২০০৮ সালে প্রকাশ হয়েছে।

পিবিএ /ইকে

আরও পড়ুন...