গোপালগঞ্জ, পিবিএ : গোপালগঞ্জে সদর সাব-রেজিস্ট্রারের পদটি শুন্য থাকা বন্ধ রয়েছে জমি রেজিস্ট্রি। ফলে জমির দলিল করতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারন মানুষ। এতে এদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অন্যদিকে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে পড়েছে দলিল লেখকদের। দ্রুত কেনা-বেচার মাধ্যমে নির্বিঘ্নে জমির দলিল রেজিষ্ট্রি করতে ও দূর্ভোগ কমাতে দ্রুত সাব-রেজিষ্ট্রার নিয়োগ দিবে কর্তৃপক্ষ এমনটি প্রত্যাশা সাধারন মানুষ ও দলিল লেখকদের।
জানাগেছে, গোপালগঞ্জ সদর সব-রেজিস্ট্রার অফিসে প্রতিদিনই দুই শতাধিক জমি রেজিষ্ট্রি করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসে জমি রেজিস্ট্রি করতে হয় জমি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। কিন্তু গত ৩০ মে সাব-রেজিস্টার আব্দুর রহিম পদোন্নতি পেয়ে নড়াইল বদলি হয়ে গেলে গত এক মাস ধরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় বন্ধ রযেছে জমির রেজিষ্ট্রি। এতে জমি বেচা-কেনা ও রেজিষ্ট্রি করতে না পাড়ায় ভোগান্তির শিকার হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে।
শুধু সাধারন মানুষ নয় জমি বেচা-কেনা আর রেজিষ্ট্রি না হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন দখিল লেখকরা। দলিল লিখতে ও করতে না পায় বন্ধ হয়ে পড়েছে তাদের আয়-রোজগার। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। সেই সাথে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাতে হচ্ছে সরকারকে।
দলিল করতে আসা রহমত আলী বলেন, গত ১৫দিন ধরে আমি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসছি। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জমির দলিল করতে পারিনি। ফলে আমাকে বারবার ফিরে যেতে হয়েছে।
জমি বিক্রেতা ফজর শেখ বলেন, আমার বিশেষ প্রয়োজনে টাকার দরকার। সে জন্য আমি নিজের জমিটুকু বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জমি যার কাছে বিক্রি করেছি তার নামে দলিল করতে দিতে পারিছি না। কয়েক বার এসে ফিরে যেতে হয়েছে। সেজন্য আমি জমি বিক্রিও করতে পরছি না আবার জমি বিক্রির টাকাটাও পাচ্ছি না। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
দলিল করতে আসা শাহজাহান চৌধুরী ও আরিফ হোসেন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে এই অফিসে জমি দলিল করার জন্য আসছি আর ফিরে যাচ্ছি। সাব-রেজিষ্ট্রার না থাকায় তারা তাদের কাজ সারতে পারছেন না।
সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সালাউদ্দিন খান ও খায়রুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিষ্ট্রার না থাকায় তাদের কোন কাজ-কর্ম নেই। সাধারন মানুষ এখানে এসে জমির দলিল করেতে পারছেন না। ফলে একদিকে যেমন আমাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে পড়েছে তেমনি প্রতিদিন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
মানুষের দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ শাহ নাওয়াজ খান জানান, জেলা সদরে সপ্তাহে প্রায় দুইশতাধিক দলিল হয়ে থাকে। ফলে সাব-রেজিস্টার না থাকায় জমির দলিলে কাজ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সাধারন মানুষের দূর্ভোগ হবার পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
বাদল সাহা/পিবিএ/বাখ