পিবিএ ডেস্ক: ছুটি কাটাতে ভিনদেশে গিয়েছিলেন৷ ঘোরাফেরার ফাঁকে ইচ্ছে হলো, একটা সিনেমা দেখার৷ থাইল্যান্ডের থিয়েটারে দেখার জন্য বেছে নিয়েছিলেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ভূতের ছবি ‘অ্যানাবেল কামস হোম’৷ কিন্তু ভয়-রোমাঞ্চের অন্যরকম অনুভূতি নিতে গিয়েই ভয়ংকর পরিণতি৷ সিনেমা হলেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন ৭৭ বছরের ব্রিটিশ নাগরিক বার্নার্ড শ্যানিং।
গ্রীষ্মের ছুটিতে ব্রিটেন থেকে থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন ৭৭ বছরের বার্নার্ড৷ এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে অ্যানাবেল সিরিজের আরেকটি রোমহর্ষক ছবি–অ্যানাবেল কামস হোম। বার্নার্ড ভাবলেন, ছুটির মাঝেই ছবিটা দেখে নেয়া যাক৷ যেমন ভাবা, তেমন কাজ। এক সন্ধেবেলা টিকিট কেটে ঢুকে পড়লেন থিয়েটারে৷ সিনেমা নির্ধারিত সময়েই শুরু হলো। কিছুক্ষণ ধরে ছবি দেখলেন৷ কিন্তু পর্দায় নানা ভৌতিক কাণ্ডকারবারে পরিবেশটা আরও একটু গা-ছমছমে হতেই আর স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে থাকেনি বার্নার্ডের৷ হৃদঘাতে মৃত্যু হয় তার।
সিনেমা শেষ হওয়ার পর থিয়েটারের আলো জ্বলে ওঠে। আর তখনই সকলের চোখে পড়ে বার্নার্ডকে স্থানীয় এক মহিলা মন্থিরা ফেনগ্রাত তাকে দেখে শিউড়ে ওঠেন। তিনিই সকলকে ডেকে আনেন৷ তার কথায়, সিনেমা হলের সামনে কয়েকজনকে ডেকে সবটা বলি। সবাই মিলে ভিতরে যাই৷ ওই বয়স্ক ভদ্রলোককে উদ্ধার করে কাছের হাসপাতালে ভরতি করাই৷ কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, উনি সিনেমা দেখতে দেখতেই মারা গেছেন৷ সিনেমা হলের কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা সচেতন ছিলেন, যাতে কেউ ছবি তুলে আরো বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে।
থাই পুলিশের অন্যতম শীর্ষকর্তা পোলপাথাম থাম্মাচাট জানিয়েছেন, বার্নার্ডের মৃত্যু হয়েছে সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এটাই প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারছি আমরা৷ তবে বিস্তারিত ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই সব প্রকাশিত হবে৷ আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি৷ কাউকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে না।
জানা গেছে, বার্নার্ড একাই গিয়েছিলেন বেড়াতে৷ ব্রিটেনে তার কোনো আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি৷ তবে সমালোচকরা বলছেন, এমন সিনেমার কী প্রয়োজন, যা দেখে আনন্দ পাওয়ার বদলে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হয়?
পিবিএ/বিএইচ