পিবিএ,রাজবাড়ী: রাজবাড়ী সদর উপজেলা মিজানপুর ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামে ছাত্রীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক ফরিদ দেওয়ান আটক ,অতপর পরিয়ে দেওয়া হলো বিয়ে। গতকাল ৫ জুন রাত ৮টায় স্থানীয় জনগণ ঘরের মধ্যে সূর্যনগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ-কারী শিক্ষক দুই সন্তানের জনক ফরিদ দেওয়ান (৪৩) ও কলেজ ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার (২১) এর সাথে তার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে নাতে ধরে।এসময় স্থানীয়রা তাদের মারপিট শুরু করলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিক্ষক ও ছাত্রীর পরস্পর বিয়ের জন্য সম্মত হলে তাদের স্থানীয়রা বিয়ে পরিয়ে দেয়।
ছাত্রীর বাবা জাফর মন্ডল জানান,আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই।আমার মেয়ে একসময় সূর্যনগর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রী ছিল।স্যার আমার মেয়েকে দিয়ে ঔই স্কুলের খাতা দেখাতো।ঘটনার সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। আমি ভ্যান নিয়ে গেছিলাম আর আমার স্ত্রী আত্মীয় বাড়িতে ছিল । সময় ফরিদ আমাদের বাড়িতে আসে ।পড়ে স্থানীয় যুবকরা তাকে আটকিয়ে রাখে।
রাজবাড়ী সদর থানার এস.আই জাহিদ বলেন,আমাদের কাছে ওসি স্যার ফোনে জানান যে দয়ালনগরে জাফর মন্ডলের বাড়িতে একটা ঘটনা ঘটছে আপনারা যান।পরে এখানে এসে আমরা জানতে পাড়ি যে স্কুল শিক্ষক ও ছাত্রীর মাঝে পূর্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দেখা করতে আসলে স্থানীয় জনগণ পরে তাদের পেয়ে আটক করে।এবং পরে আমরা মেয়েকে আমরা জিজ্ঞাসা বাদ করি। এই বিষয়ে ছাত্রী বলেন তার সাথে তার কোন অপিত্তিকর ঘটনা ঘটেনি।তাদেরকে সন্দেহ মূলক এক ঘরে পেয়ে আটক করা হয়েছে।বাদীর এই বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই।তারা বলে আমরা বিয়ে করবো এবং বিয়ে করে ফেলে।আমরা এসে দেখি বিয়ে হয়ে গেছে সেই কারণে আমরা এই বিষয়ে আর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি নাই।
বাগমারা ছোটমোড় মসজিদের বিয়ে পড়ানো ইমাম মোঃ মেজবাউল ইসলাম বলেন,১০ লক্ষ টাকা কাবিনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়েছে।এখন তারা স্বামী-স্ত্রী । তবে ফরিদ দেওয়ানের প্রথম স্ত্রীর এই বিয়ের অনুমতি ছিল না কি সেই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেন নি তিনি।
পিবিএ/চ/ইকে