পিবিএ,কুমিল্লা: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার এসআই ওবাইদুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। রাহেলা বেগম নামের এক মামলার বাদির কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে এসআই ওবায়েদ। দরিদ্র পরিবার টাকা দিতে না পারায় ওই এসআই বাদির মামলার সাক্ষীর দেয়া তথ্যকে অন্য ভাবে পেশ করে আদালতে রিপোর্ট দেন। ফলে গত ২৬ জুন তারিখে মামলার সাক্ষী দিনমুজুর বেলাল হোসেন হাজিরা দিতে গেলে আদালতে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
এ ঘটনায় ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার জোড্ডা পশ্চিম ইউপির ঘোড়া ময়দান গ্রামের জাকের হোসেনের ক্ষতিগ্রস্ত স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪০) ওই এসআই’র বিরুদ্ধে ডাক যোগে চট্টগ্রাম ডিআইজি, কুমিল্লা পুলিশ সুপার ও নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন এবং নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাবে অনুলিপি দেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত পয়লা মে রাতে রাহেলা বেগমের গোয়াল ঘর থেকে ১টি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একই গ্রামের মৃত হোরন মিয়ার ছেলে এলাকায় তালিকা ভুক্ত বাবুল চোর। ওইদিন রাতে রাহেলা বেগম বাবুল চোরকে বাঁধা দিলে চোরের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় রাহেলা বেগম চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন আসার আগে বাবুল চোর পালিয়ে যায়। বাবুল চোর একটি মোবাইল ফোন ও গামছা রেখে যায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রাহেলা বেগমকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রাহেলা চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্বামী জাকের হোসেন বাদি হয়ে গত ২ মে নাঙ্গলকোট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার তদন্ত দেয়া হয় এসআই আমিনুল ইসলামকে। আমিনুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় মামলরা তদন্তের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এই সুযোগে বাবুল চোর বাদি হয়ে গত ৬ মে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নং আমলি আদালতে জমি সংক্রন্ত বিষয়ে রাহেলার মামলরা সাক্ষী সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাহেলা ও বাবুল চোরের মামলা দুটির তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই ওবাইদুল হক। মামলার তদন্তকালে এসআই ওবাইদুল হক রাহেলা বেগমের স্বামী জাকের হোসেনের কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই টাকা দিতে না পারায় তার মামলার সাক্ষী বেলাল হোসেনের কাছ থেকে সাদা কাগজে সাক্ষর নেয় এবং তার দেয়া বক্তব্য উল্টো ভাবে পেশ করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট প্রেরণ করেন। অপরদিকে প্রাথমিক তদন্ত ভালো রিপোর্ট দেন বাবুল চোরের পক্ষে। ফলে সাক্ষী বেলাল হোসেন গত ২৬ জুন তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো: নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, যে অভিযোগ দিয়েছে, আমি ওই মহিলার এবং মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সত্যতা উদঘাটন করবো।
এ ব্যাপারে অভিযোক্ত এসআই ওবাইদুল হক বলেন, সাক্ষিদের বক্তব্য যে ভাবে বলছে আমি ওই ভাবে লিখছি। এজহারভূক্ত সাক্ষিরা কেউ রাহেলার মামলার বিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
পিবিএ,মো. গালিব, নাঙ্গলকোট ,/ইকে