পিবিএ ডেস্ক : ক্যালেন্ডারের নিয়মে বয়স তো বাড়বেই। হাজার চেষ্টা করেও তাকে আটকে রাখা যাবে না। কিন্তু চেহারায় বয়সের ছাপকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারেন আপনি। তাও আবার একেবারেই নামমাত্র খরচে!
চুল পাকা থেকে কুঁচকে যাওয়া ত্বককে টান টান রাখতে প্রায়ই পার্লার বা সেলুনে বেশ কিছুটা সময় কাটান অনেকেই। তাতে পকেটে চাপও পড়ে যথেষ্ট। আবার এক শ্রেণির কাছে ত্বক পরিচর্যার জন্য আলাদা করে কোনও সময় বা অর্থ থাকে না। কিন্তু ত্বকের কিছু কিছু যত্ন কমবেশি সকলেরই নেওয়া উচিত।
তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিন অ্যান্টি এজিং ফেসিয়াল মাস্ক। নিয়মিত ব্যবহারে উজ্জলতা তো বাড়বেই, সঙ্গে চেহারায় থাকবে না বয়সের ছাপ। বিভিন্ন ত্বকের জন্য বিভিন্ন মাস্ক বিশেষ কার্যকর। কোন ত্বকের জন্য কেমন মাস্ক কাজে আসবে দেখে নিন।
একটি বড় পাত্রে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ দই, এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল একসঙ্গে নিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন।এই মিশ্রণ গাঢ় হয়ে এলে একেমুখে লাগিয়ে অন্তত দশ-পনেরো মিনিট অপেক্ষা করুন।শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন।
মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি আপনার ত্বককে নরম করবে।আমন্ড ও ডিমের কুসুম ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে ও মৃত কোষ ঝরিয়ে ত্বককে পরিশোধিত করে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
উপকরন : গাজর, মুসুর ডাল বাটা এবং মধু।
গাজর ভাল করে সেদ্ধ করে, চটকে তার পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার পেস্ট করা গাজরের সঙ্গে যোগ করুন এক চামচ মুসুর ডাল বাটা ও এক টেবিল চামচ মধু। এই মিশ্রণ কিছু ক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর মুখ ধুয়ে এই মিশ্রণ আপনার ত্বকে লাগিয়ে মিনিট দশ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
গাজরে থাকা ভিটামিন এ এবং সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের কুঁচকানো রোধ করে। মধু ত্বককে ময়শ্চারাইজ করার পাশাপাশিত্বকের উজ্জলতা বাড়ায় ও মুসুর ডাল বাটা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ত্বকের দাগছোপ দূর করে।
সাধারণ ত্বকের জন্য
উপকরন : মধু,অ্যাভোকোডা ও ডিমের কুসুম।
দুই চামচ মধু, এক চামচ অ্যাভোকাডো ও একটি ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ত্বক পরিষ্কার করে মুখে এই মিশ্রণটি মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ।
অ্যাভোকাডো ও ডিমের কুসুম ত্বকের মৃতকোষ ঝরিয়ে ত্বককে টানটান রাখবে। মধু ত্বকের আর্দ্রতা বাড়িয়ে উজ্জলতা ধরে রাখবে।